মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নারী-পুরুষ সমতা বিধানে অংশ হিসেবে কর্মক্ষেত্রে সবার অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করছে। যেকোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা চাকরি ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও আবেদন করছে, কাজ করছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে অনেকে বড় দায়িত্বও পালন করছে। ব্রিটেনের তালিকাভুক্ত বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর বোর্ড পরিচালনায় নারীর অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। প্রথমবারের মতো এ হার বেড়ে ৪০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বিশ্লেষকরা জানান, যুক্তরাজ্যের ৩৫০টি বড় তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মাত্র ১০টিতে পুরুষ কর্মীর সংখ্যা বেশি। খবর দ্য গার্ডিয়ান। যুক্তরাজ্যে ৫ হাজার ২০০টি শীর্ষ পদের মাত্র এক-তৃতীয়াংশে নারীরা অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে ফওসেট সোসাইটি অ্যানালাইসিস। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের বড় ব্যবসা কার্যক্রম এখনো পুরুষদের হাতেই নিয়ন্ত্রিত। এফটিএসই ১০০ প্রতিষ্ঠানে মাত্র সাতজন নেতৃত্ব দেয়, যদিও ২০২২ সালে সংখ্যাটা নয়জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বোর্ড পর্যায়ে ভারসাম্যহীনতা কিছুটা উন্নত হয়েছে। বিশ্লেষণ করা ৩৫০টি বোর্ডে বর্তমানে অন্তত একজন করে নারী রয়েছে। যেখানে এক দশক আগেও ১৫২টি প্রতিষ্ঠানের বোর্ডে শুধু পুরুষরাই ছিল। সম্প্রতি ডাটা কোম্পানি বোর্ডএক্সের করা নারী নেতৃত্বের রিভিউতে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ তালিকার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে ফ্রান্স। আর দ্বিতীয় অবস্থানে যুক্তরাজ্য রয়েছে বলে সরকারি তথ্যে জানা গেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এফটিএসই (ফিনান্সিয়াল টাইমস স্টক এক্সচেঞ্জ) এর উইমেন লিডার্স রিভিউ ৩৫০ শীর্ষ কোম্পানিকে ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের বোর্ডে ও নেতৃত্বে নারীদের সংখ্যা ৪০ শতাংশ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয়। সময়সীমার তিন বছর পূর্বে, অর্থাৎ ২০২২ সালেই এই লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৫০টি কোম্পানির বোর্ডে নারীর উপস্থিতির হার ২০২২ সালে প্রায় ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ শতাংশে পৌঁছায়। প্রথমবারের মতো ব্রিটেনে তালিকাভুক্ত ৩৫০টি বড় কোম্পানির বোর্ডে নারীদের অংশগ্রহণ ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রথমবারের মতো ব্রিটেনে তালিকাভুক্ত ৩৫০টি বড় কোম্পানির বোর্ডে নারীদের অংশগ্রহণ ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। নারীদের সংখ্যা অধিক হারে বৃদ্ধির ফলে ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারিতে নারীদের অনুপাত দাঁড়ায় ৪০ দশমিক ২ শতাংশে। অন্যদিকে, শীর্ষ ১০০ কোম্পানির বোর্ডে ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী অধিষ্ঠিত হয়েছেন, ২০২১ সালে যা ছিল ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ।বাণিজ্য সচিব ও নারী সমতা বিষয়ক মন্ত্রী কেমি বাদেনস বলেছেন, এই অগ্রগতিকে স্বাগত জানাই। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের পদে এবং বোর্ড রুমে আরও ভারসাম্য আনার জন্য এই ধারা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। শীর্ষ ১০০ কোম্পানির বোর্ডে ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী অধিষ্ঠিত হয়েছেন, ২০২১ সালে যা ছিল ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ। শীর্ষ ১০০ কোম্পানির বোর্ডে ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী অধিষ্ঠিত হয়েছেন, ২০২১ সালে যা ছিল ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ। নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে বোর্ডে বৈচিত্র্য আনা অনেক কোম্পানির নীতিনির্ধারক ও বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি মনোযোগের বিষয় হয়ে ওঠে। তাদের মতে, নানা ধরনের অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ ঘটলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কর্পোরেট সংস্কৃতি উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্স বা বেলজিয়ামের মতো ব্রিটেনে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলোর বোর্ডে নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোটা ব্যবস্থা নেই। যুক্তরাজ্যে নারীদের এই অগ্রগতি তাই আরো উল্লেখযোগ্য ও চকমপ্রদ। এক দশক পূর্বেও ৩৫০টি কোম্পানির মধ্যে ১৫২টির বোর্ডে কোনো নারী ছিলেন না। এখন প্রত্যেক কোম্পানিতে নারী আছেন, এমনকি অধিকাংশতেই তিন বা তার অধিক নারী রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে বোর্ডে নারীদের সংখ্যা বাড়লেও নির্বাহী পর্যায়ে নারীদের হার এখনো নগণ্যই রয়ে গেছে। ফিনান্সিয়াল টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।