Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিয়ার মতো নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন শরিফ, জারদারি: ফাওয়াদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২৩, ৭:৩৪ পিএম

পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী মঙ্গলবার বলেছেন যে, শরীফ পরিবার এবং পিপিপির ‘জারদারি গ্রুপ’ সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল (অব.) জিয়াউল হকের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে কারণ তারা ‘দেশে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে’।

‘তারা (শরিফ এবং জারদারি পরিবার) নিজেদেরকে জেনারেল জিয়াউল হকের উত্তরসূরি হিসেবে প্রমাণ করেছে যিনি দেশে সামরিক আইন জারি করেছিলেন এবং নয় বছরের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেছিলেন,’ তিনি সুপ্রিম কোর্টের বাইরে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় বলেছিলেন। পাঞ্জাব ও খাইবার-পাখতুনখোয়ায় প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় বিলম্বের বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানির পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ মঙ্গলবার এ মামলায় দুই দিনের দীর্ঘ কার্যক্রম শেষ করেছে এবং বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। সেখানে পাকিস্তানের ২ প্রদেশে নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বলেছে, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৯০ দিনের মধ্যে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন করতে হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সংসদীয় গণতন্ত্র। সংসদ বা প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলি ছাড়া সংসদীয় গণতন্ত্র হতে পারে না।’

পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় প্রাদেশিক পরিষদের নিয়ন্ত্রণ এখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) হাতে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবি জোরদার করতে এই দু’টি অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেয়া হয়। ‘সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ত্রাণকর্তা... তাদের প্রাথমিক কাজ হল সংবিধান রক্ষা করা... সুপ্রিম কোর্টকে পাবলিক বিতর্কের অংশ বানাবেন না,’ ফাওয়াদ ক্ষমতাসীন পিডিএম নেতাদের শীর্ষ আদালতের সমালোচনার কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন।

পিটিআই নেতা পাঞ্জাব এবং কে-পিতে নির্বাচনের ঘোষণায় বিলম্বের জন্য স্বতঃপ্রণোদিত নোটিশ নেয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রশংসা করে বলেছেন, গভর্নরদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে অস্বীকার করার পরে বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ বিষয়টি সমাধানের উপায় ছিল। তিনি পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের সিনিয়র সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজের বক্তব্যেরও উল্লেখ করেছেন যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, সাধারণ নির্বাচন অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে তবে প্রথমে নওয়াজ শরীফকে ‘নিরাপরাধ’ ঘোষণা করতে হবে এবং দোষী সাব্যস্ত করে ইমরানকে খানকে বিচারের আওতায় আনার মাধ্যমে দাঁড়িপাল্লার উভয় দিককে ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে।

‘(পিটিআই চেয়ারম্যান) ইমরান খানের আদালতে ২০০টি উপস্থিতির পরে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে,’ মরিয়ম, যিনি পার্টির প্রধান সংগঠকও, সোমবার সাহিওয়ালে একটি কর্মী সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময় বলেছিলেন। তার বক্তব্য জেনারেল জিয়াউল হক যেভাবে বলেছিলেন ‘আগে জবাবদিহি তারপর নির্বাচন’ এর মতো। পরবর্তীকালে, জেনারেল জিয়া নয় বছরের জন্য নির্বাচন বিলম্বিত করেছিলেন, ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন।

তিনি বলেছিলেন যে, ‘স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানির সময়, পিএমএল-এনও ‘সুপ্রিম কোর্টকে বিভক্ত করার জন্য পুরানো কৌশল’ ব্যবহার করেছিল। তারা (সরকার) সাধারণ নির্বাচনের আগে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে অযোগ্য ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে।’ সূত্র: ট্রিবিউন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ