মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা এবং বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদি তাদের বেঞ্চের গঠনে আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে মামলা শুনতে অস্বীকার করায় মঙ্গলবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে (এসসি) সঙ্কট আরও গভীর হয়েছে।
বিচারপতি আফ্রিদি বুধবার বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন কিন্তু পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল রোস্টার পরিবর্তন করেন এবং বিচারপতি ঈসার বেঞ্চে বিচারপতি আফ্রিদিকে অন্তর্ভুক্ত করেন। মঙ্গলবারের তালিকা অনুসারে, বিচারপতি সাইয়্যেদ মাজাহার আলী আকবর নকভি, যিনি বিচারপতি আফ্রিদির জুনিয়র, এখন বিচারপতি হাসান আজহার রিজভির সাথে বেঞ্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যিনি সোমবার বিচারপতি ঈসার সাথে বসেছিলেন।
বিচারপতি ঈসা ও বিচারপতি আফ্রিদি তাদের লিখিত আদেশে বলেছেন, যদি ইচ্ছামত এবং কারণ ছাড়া বেঞ্চ পরিবর্তন করা হয়, তাহলে তা মামলাকারী ও জনসাধারণের মনে সন্দেহ তৈরি করবে। দুই সুপ্রিম কোর্টের বিচারক সর্বোচ্চ আদালতে মামলা নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রেজিস্ট্রারের কাছে স্বচ্ছতা দাবি করেছেন। দুই বিচারকও বিষয়টি নোটিশ নেন এবং মামলার সব রেকর্ডসহ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে তলব করেন।
তার মন্তব্যে, বিচারপতি ইসা বলেছেন, ‘আমি সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি। আমি পাঁচ বছর বেলুচিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিও ছিলাম।’ ‘আমরা স্বচ্ছতা চাই,’ তিনি বলেছিলেন এবং প্রশ্ন তোলেন যে, রেজিস্ট্রার যদি এক বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চে মামলা স্থানান্তর করেন তবে কীভাবে স্বচ্ছতা থাকবে?
বিচারপতি ঈসা মন্তব্য করেন, ‘মনে হচ্ছে একজন রেজিস্ট্রার আমার মতো একজন বিচারকের চেয়ে বেশি ক্ষমতাবান।’ তিনি আরও বলেন, রেজিস্ট্রার শুনানির জন্য মামলা স্থির করায় ২০১০ সাল থেকে এখনও বিচারাধীন মামলাগুলো তিনি শুনতে পারছেন না। ‘আমি কি ফোন করে রেজিস্ট্রারকে অমুক বেঞ্চে অমুক মামলা রাখতে বলতে পারি?’ প্রশ্ন করেন বিচারপতি ঈসা।
জবাবে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘কেসগুলি শুধুমাত্র পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির অনুমোদন নিয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত হয়।’ বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদিও প্রশ্ন তোলেন যে, বিচারপতি রিজভী যখন বেঞ্চের অংশ ছিলেন তখন কেন পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং মামলাগুলি নির্ধারণের পদ্ধতি সম্পর্কে আবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (এসসিবিএ) সাবেক সভাপতি আমানউল্লাহ কুনরানি বলেন, ‘মানুষ প্রশ্ন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে কিন্তু আমাদের মামলা নেয়া হচ্ছে না।’ বিচারপতি ঈসা পুনর্ব্যক্ত করেন যে রেজিস্ট্রার অফিসে কোন স্বচ্ছতা নেই এবং কেন দীর্ঘস্থায়ী মামলা শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হচ্ছে না তা প্রশ্ন তোলেন। বিচারপতি আফ্রিদি মামলা নির্ধারণের বিষয়ে রেজিস্ট্রার অফিসের নীতি নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সূত্র: ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।