Inqilab Logo

শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০১ রবিউল সানী ১৪৪৬ হিজরী

খাদ্য ব্যবস্থাকে শিল্পে রূপ দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১১:২০ পিএম

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, কৃষি যেমন দেশের একটি বড় শিল্পে রূপ নিয়েছে, তেমনি আমাদের খাদ্য বা খাদ্য ব্যবস্থাকে শিল্পে রূপ দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বৈচিত্র্যময় খাদ্য ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে পারলে দেশের স্বল্প আয়ের মানুষেরর জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাবার পাওয়া সহজ হবে।
নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ফুড ফ্রন্টিয়ার্স ২ দশমিক ০’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রেশন এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহে উৎসাহিতকরণ এবং সৃজনশীল ব্যবসায়িক ধারণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। আর এটা সফল করার জন্য প্রয়োজন আজকের তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ। চাকরির পিছনে না ঘুরে চাকরি তৈরি করতে হবে। এজন্য নিজেদেরকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, কৃষিতে স্বল্প বিনিয়োগে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের ফলে ছোট্ট বাংলাদেশ কৃষি খাতে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ স্থানে চলে এসেছে। এর মূল কারণ আমাদের শিক্ষিত তরুণরা আজ কৃষিতে তথা খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে এসেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে দেশের প্রধান খাদ্য ধানে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এনেছে এবং আগামী দিনে বাড়তি জনসংখ্যার কথা চিন্তা করে এই ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এখন নুতন করে ভাবতে হচ্ছে দেশের খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতাই যথেষ্ট নয়, সবার জন্য পুষ্টি নিরাপত্তা চাই।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী তরুণদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা ফুড সিস্টেম নিয়ে কাজ করছেন, আপনাদের মধ্যে রয়েছে দেশপ্রেম, রয়েছে এদেশের সাধারণ মানুষের প্রতি ভালবাসা এবং দায়িত্ববোধ।
বিজয়ীদের উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা বাস্তবায়ন, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য মোট ৩৩ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলারের অনুদান ও প্রি-সীড তহবিল দেওয়া হয়।
তিনটি ক্যাটাগরিতে ৫ জন উদ্যোক্তা এবং বিশেষ একজন ব্যক্তিকে পৃথকভাবে চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। তিন ক্যাটাগরির মধ্যে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসায়িক মডেল’ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন এগ্রিভেঞ্চার ও ফার্মজিলা। ‘যুগান্তকারী প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ধারণা’ ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা হলেন কুক্যান্টস ও কৃষি স্বপ্ন। আর ‘উদ্ভাবনী বিপণন প্রচারাভিযান’ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন কন্যা ওয়েলবিয়িং।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ