কোভিড মহামারীর সময়ে নজিরবিহীনভাবে ভারতে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের ফলে ৩৪ লাখ মানুষের প্রাণ বেঁচেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্দাভিয়া। শুক্রবার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সির এক গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল তুলে ধরে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, কোভিড টিকার ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাবও পড়েছে ভারতের অর্থনীতিতে। এর ফলে ১ হাজার ৮৩০ কোটি ডলারের ক্ষতি রোধ হয়েছে। ‘হিলিং দ্য ইকোনমি: এস্টিমেটিং দ্য ইকোনমিক ইমপ্যাক্ট অন ইন্ডিয়াস ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড রিলেটেড ইস্যুজ’ শিরোনামে গবেষণার ফল তুলে ধরেন তিনি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে কোভিডকে জনস্বাস্থ্যের জরুরি উদ্বেগ হিসেবে ঘোষণার অনেক আগেই ভারত বিভিন্ন ব্যবস্থা জোরদার করেছিল। ভ্যাকসিনেশন এবং সম্পর্কিত বিষয়গুলোর অর্থনৈতিক প্রভাব বিষয়ে আয়োজিত দ্য ইন্ডিয়া ডায়ালগ সেশনে ভার্চুয়াল বক্তব্যে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মান্দাভিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদী মহামারীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিলেন। তিনি ‘সমগ্র সরকার, সমগ্র সমাজ’ নীতি গ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর
লকডাউনের সিদ্ধান্তকে সেই গবেষণা প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
গবেষণায় ভাইরাসের বিস্তার রোধে নিয়ন্ত্রণ নীতির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, কোভিড প্রতিরোধে ‘টপ-ডাউন’ নীতির পরিবর্তে ‘বটম-আপ’ পদ্ধতি বেশি কাজে দিয়েছে, অর্থাৎ কমিউনিটি লেভেলে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সংক্রমণে ঠেকিয়েছে সরকার। এছাড়া কোভিড মোকাবিলায় কমিউনিটি পর্যায়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ, গণপরীক্ষা, সংক্রমণ শনাক্তকরণ, হোম কোয়ারেন্টাইন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো পুনর্গঠন এবং কেন্দ্র, রাজ্য ও জেলা স্তরে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে অবিরাম সমন্বয় কেবল ভাইরাসের বিস্তার রোধই করেনি, দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বৃদ্ধিতেও সাহায্য করেছে।
গবেষণায় ভারতের কৌশলের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো- নিয়ন্ত্রণ, রিলিফ প্যাকেজ এবং ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম পরিচালনা। দেশে ২২০ কোটি ডোজ কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।