রুশ রণতরী অ্যাডমিরাল গোর্শকভ চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য এ সপ্তাহের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ডস বন্দরে পৌঁছাল, তার পাশে লেখা ছিল ইংরেজি জেড ও ভি বর্ণ। ইউক্রেইন যুদ্ধে রাশিয়ার অস্ত্রগুলোতে এই বর্ণদ্বয় দেখা গেছে, যা এখন দেশটির দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।
রাশিয়ান নৌবাহিনীর কমান্ডাররা এই চিহ্নগুলোর অর্থকে কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখালেও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত অ্যাডমিরাল গোর্শকভের মোতায়েন ইউক্রেন ও অনেক পশ্চিমা দেশের ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে মস্কোর আগ্রাসনের এক বছর পূর্তিতে রুশ রণতরীর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ঘিরে সেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে- দক্ষিণ আফ্রিকায় যৌথ সামরিক মহড়ায় নতুন প্রজন্মের ‘জিরকন’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে। তবে তাদের নৌ কমান্ডার ওলেগ গ্ল্যাডকি বুধবার জোর দিয়েই বলেছেন, এই মহড়ায় সেই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষ করে ‘হিংস্র অস্ত্র’ হিসেবে মনে করা হয়, কারণ তা শব্দের গতির তুলনায় পাঁচ থেকে ২৫ গুণ পর্যন্ত বেশি গতিতে চলে। ইউক্রেনের যুদ্ধ বিভিন্ন সময়ে রুশ বাহিনী এর ব্যবহার করেছে।
নৌ কমান্ডার গ্ল্যাডকি বুধবার বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় নৌ মহড়ায় কোনো গোপন অর্থ নেই। কেপটাউনে বন্দরে রুশ রণতরীর প্রতিবাদে ইউক্রেইনের পতাকাবাহী একটি ছোট জাহাজ সাগরে ভাসানোর পরই এ মন্তব্য করেন গ্ল্যাডকি। একই সময়ে ওই অনুশীলনের বিরুদ্ধে প্রিটোরিয়ায় বিক্ষোভও হয়েছে।
২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আর্টিলারি ফায়ার ও সাগরে কৌশলগত অনুশীলন চালানোর কথা জানান গ্ল্যাডকি। অ্যাডমিরাল গোর্শকভ ছাড়াও মহড়ায় একটি ট্যাঙ্কার মোতায়েন করেছি রাশিয়া, যার কোড নাম ‘মোসি ২’। সোয়ানা ভাষায় এর অর্থ ‘ধোঁয়া’।
চীনের সামরিক রসদের মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী হুয়াইনান, রণতরী রিঝাও এবং সামরিক রসদ সরবরাহকারী জাহাজ কেকেক্সিলিহু। চীনের নৌবাহিনী সবে এডেন উপসাগরে একটি মিশন শেষ করেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা একটি রণতরী এবং মহড়ায় সহায়তাকারী দুটি জাহাজ মোতায়েন করেছে।