পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে নারীদের গুম-অপহরণের বিরুদ্ধে কোয়েটা, করাচি, কেচ, খুজদার, মান্দ এবং বেলুচিস্তানের অন্যান্য অংশে এখনো বিক্ষোভ চলছে। ক্রমবর্ধমানভাবে চলা অপহরণের ঘটনার মধ্যে সাম্প্রতিক গুমের ঘটনায় নতুন করে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে।
এএনআই জানিয়েছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বেলুচিস্তানের রাজধানী শহর কোয়েটার গিসকোরি টাউন থেকে রহিম জেহরি, তার মা মাহবাস খাতুন, তার স্ত্রী রাশেদা জেহরি এবং তাদের দুই সন্তানকে গুম করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থা। একইভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী মহল বালুচ, তার দুই মেয়েসহ কয়েক নারীকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
রহিম জেহরির পরিবারকে নির্যাতন করা হয়েছিল, ফলে জনসাধারণের ক্রমবর্ধমান চাপে তার পরিবারের সদস্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে রহিম জেহরির ভাগ্যে কী ঘটেছে এখনো জানা যায়নি। অন্যদিকে মহল বেলুচকে নির্যাতন করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী তার দুই মেয়ে জানিয়েছে।
তাদের অপহরণের পরদিন মহল বালোচের দুই মেয়ের সঙ্গে অন্য দুই নারীকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে মহল বালোচ এখনো থানা হেফাজতে রয়েছেন।
সরকারি বাহিনীর হাতে গুম-অপহরণ সাধারণ ঘটনা বেলুচিস্তানে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বা অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রতিদিনই গুমের ঘটনা ঘটছে, যার বেশিরভাগই তরুণ যুবক। খুব সম্প্রতি নারীদের গুমের কয়েকটি খবর পাওয়া গেছে। গত কয়েক মাসে বেলুচ নারীদের জোরপূর্বক গুমের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ছয় মাসে কোয়েটা, করাচি, বোলান, কেচ এবং পাঞ্জগুরে এক ডজন নারী গুমের শিকার হয়েছে। বেলুচিস্তান হাইকোর্টও নারীদের নিখোঁজের কিছু ঘটনা নিশ্চিত করেছে।
এর আগে পঞ্জগুর জেলা ও বেলুচিস্তানের অন্যান্য অংশে এ ধরনের গুমের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, যেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নারীদের তুলে নিয়ে গেছে এবং যৌন নির্যাতন করেছে। নারীদের বন্দি শিবিরে রাখা হয়, যেখানে তারা ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানো হয়।