Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুম্বাইতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল হিন্দুত্ববাদীদের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৪৭ পিএম

মুসলিমদের ধর্মস্থানের সংখ্যা বাড়ছে। একইসঙ্গে মাথাচাড়া দিচ্ছে ‘লাভ-জিহাদ’। এইসবের প্রতিবাদেই সম্প্রতি একটি মিছিল করলেন ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ওই মিছিল থেকেই মুসলিমদের প্রতি বিষোদগারও করেছেন তারা।

কিন্তু আচমকা মুসলিমদের বিরুদ্ধে কেন সরব হলেন হিন্দুতবাদীরা? তাদের মতে, এ ঘটনা আকস্মিক নয়। বরং এর নির্দিষ্ট প্রেক্ষিত আছে। সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাদের মিছিল। জনপ্রিয় এক হিন্দু সংগঠনের সদস্য কাজল সিংহ এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন লাভ জিহাদের প্রসঙ্গটি। তার মতে, মুম্বাই শহরে একসঙ্গে ২৫ জন বাংলাদেশি মুসলিম এক ঘরে থাকছেন। সংগঠনের অভিযোগ, তারাই নাকি মুম্বাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষত ফল ও সবজি বাজার দখল করতে শুরু করেছেন। যার দরুন ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন হিন্দু ব্যবসায়ীরা। তাই সংগঠনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে তাদের বয়কট করার ডাক দিয়েছেন তিনি।

এরপরই বেআইনি ভাবে ধর্মস্থান নির্মাণের কথা বলেছেন তিনি। তার দাবি, মুম্বাইয়ের এপিএমসি বাজারের কাছেই তৈরি করা হয়েছে ৮টি দরগা। পাশাপাশি বহু জায়গাতেই রাতারাতি এরকম ধর্মস্থান তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ তার। তার জোরালো দাবি যে, এগুলি সবই বেআইনি। অবিলম্বে মুম্বাই পৌরসভার কাছে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেছেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে সরাসরি একটি সমাধানের রাস্তাও বাতলেছেন তিনি। তার মতে, যদি বিনা অনুমতিতে এই ধর্মস্থানগুলি তৈরি করা হয়ে থাকে, তাহলে বিনা অনুমতিতেই সেগুলি ভেঙেও ফেলা যায়।

এখানেই শেষ নয়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেই তিনি স্থানীয় হিন্দুদের উদ্দেশেও এক বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। তার স্পষ্ট বক্তব্য, মূর্তি পুজো করেন না এমন কাউকে যেন বাড়ি বা জমি ভাড়ায় না দেন হিন্দুরা। যদিও এই প্রথম নয়। এই নিয়ে তৃতীয়বার এই ধরনের দাবি নিয়ে পথে নামলেন হিন্দুত্ববাদীরা। তবে এই মিছিলে জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মিছিলের ভিডিও করে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মিছিলকারীদের দাবিও রেকর্ড করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে সম্পূর্ণ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়া হবে না বলেই জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সূত্র: এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ