মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কথায় আছে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সেকথাই যেন মনে করিয়ে দিল এক ব্যক্তির জীবনের গল্প। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত অক্ষরজ্ঞানই ছিল না তার। তার উপর, অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার দরুণ, চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, তার পক্ষে নিজে নিজে কোনো কাজ করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু তার মনের জোর ভুল প্রমাণ করেছে সবাইকে। নিজের চেষ্টায় তিনি হয়েছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনিষ্ঠতম অধ্যাপক।
জাসোন আর্দে, বছর ৩৭-এর এই ব্যক্তির জীবনযুদ্ধ অন্য অনেকের থেকেই ছিল বেশ কঠিন। কারণ তার ছোটবেলাটা মোটেই স্বাভাবিক ছিল না। জন্মের সময় বোঝা না গেলেও পরে বোঝা যায় তিনি অটিজমে আক্রান্ত। যার ফলে কথাই বলতে পারতেন না ১১ বছর বয়স পর্যন্ত। অক্ষর চিনতে শেখেন ১৮ বছর বয়সে। চিকিৎসকেরা বলেই দিয়েছিলেন, জাসোনের পক্ষে একা একা কিছু করা সম্ভব নয়। সারাজীবনের জন্য তার একজন হেল্পার দরকার। যেমনটা এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে আর কী! জাসোনের বাড়ির লোকজনও এই অবস্থাকে দুর্ভাগ্য হিসেবেই মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু একথা মানতে রাজি ছিলেন না খোদ জাসোন নিজেই। তার সমবয়সিদের মতো স্কুলে যাওয়ার সুযোগ ছিল না তার। বাড়িতে বসেই স্বপ্ন দেখতেন বড় হওয়ার। সেই সব স্বপ্নের কথা লিখে রাখতেন ঘরের দেওয়ালে। ওইটুকু বয়সেই তিনি লিখে রেখেছিলেন, একদিন না একদিন বিশ্বের নামকরা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হবেন।
হয়েছেন-ও তাই। সম্প্রতি কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, তিনিই নাকি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক। শুধু তাই নয়, ব্রিটেনের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ অধ্যাপকই শ্বেতাঙ্গ। সেখানে একজন কৃষ্ণাঙ্গ হয়ে এমন কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তিনি। যদিও তার স্বপ্নপূরণের এ যাত্রপথ একেবারেই সহজ ছিল না। নিজের চেষ্টায় স্নাতকোত্তর, পিএইচডিসহ একাধিক ডিগ্রি অর্জন করেন জাসোন। তবু কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিতে পারেননি তিনি। সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বহুবার। কিন্তু ওই যে, তার অদম্য মনের জোর, সেই জেদের বশেই চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। অবশেষে স্বপ্ন পূরণের সুযোগ এসেছে তার হাতে। ভবিষ্যতে অনগ্রসর মানুষদের জন্য কাজ করতে চান জাসোন। একইসঙ্গে নিজেকে আরো উন্নত করে তোলাই তার একমাত্র লক্ষ্য। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।