Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেপালে টালমাটাল ক্ষমতাসীন জোট

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচন্ড আগামী মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধীদলের একজন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার পরিকল্পনা জানানোর পরই মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র দেন। নেপালে উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য আরও তিন মন্ত্রীর পদত্যাগে টালমাটাল ক্ষমতাসীন জোট সরকার। শনিবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুস্প কমল দহল ওরফে প্রচ- আগামী মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধীদল থেকে একজন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার পরিকল্পনা জানানোর পরই মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র দেন। শুক্রবার প্রচন্ড বলেন, তিনি বিরোধীদল নেপালি কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) থেকে রাম চন্দ্র পৌদেলকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সমর্থন দেবেন। জোট সরকারের শরিক দল ‘দ্য কমিউনিস্ট ইউনিফাইড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট’ (ইউএমএল)-এর প্রার্থীর পরিবর্তে রাম চন্দ্রকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান তিনি। এই সিদ্ধান্তের কোনও কারণ প্রচন্ড জানাননি। যদিও নেপালি কংগ্রেস পার্টি এর আগে প্রচন্ডর মাওবাদী সেন্টার পার্টিরই মিত্রদল ছিল। প্রচন্ড তার সিদ্ধান্ত জানানোর পর এর প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন উপপ্রধানমন্ত্রী রাজেন্দ্র লিংডেন। তার সঙ্গে পদত্যাগ করেন নগর উন্নয়ন মন্ত্রী, আইন বিষয়ক মন্ত্রী এবং একজন উপমন্ত্রীও। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে রাজেন্দ্র বলেন, “যে জোটের অধীনে আমরা সরকারে যোগ দিয়েছিলাম তা আর অখন্ড নেই।” সরকারে তাদের থাকাটা আর ঠিক হবে না বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী প্রচন্ডর কার্যালয় চার মন্ত্রীর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করে জানিয়েছে। তবে তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে কিছু বলেনি। রাজনীতি বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, মন্ত্রীদের পদত্যাগে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যায় পড়বে না প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের সরকার। কারণ, এখনও পার্লামেন্টে তার সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তবে যে টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে নতুন একটি জোট গঠিত হতে পারে। আগামী ৯ মার্চে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে চলেছে নপাল। এই পদটি অলঙ্কারিক। পরোক্ষভাবে এই নির্বাচন করা হয়ে থাকে। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের সদস্য এবং সাতটি প্রদেশের বিধানসভা সদস্যদের নিয়ে তৈরি ইলেক্টোরাল কলেজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়। নেপালে ২০০৮ সালে ২৩৯ বছর পুরোনো রাজতন্ত্র অবসানের পর থেকে ১১ বার সরকার বদল হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে ভয় পাওয়ায় দেশটিতে শত শত কোটি ডলারের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ