Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্কে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি পুনর্নির্মাণ শুরু

সহিংসতা এড়াতে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে ইসরাইলকে

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

পূর্ব এশিয়ার দেশ তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি আঘাত হানে ভয়াবহ ভূমিকম্প। স্মরণকালের শক্তিশালী এ কম্পনে শুধু তুরস্কেই ১ লাখ ৬০ হাজার হাজার বাড়ি ধসে পড়ে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছেন। বাড়ি-ঘর হারানো এসব মানুষের জন্য এখন নতুন করে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছে তুরস্কের সরকার। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি এক বছরের মধ্যে পুনর্নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দ্রুত নির্মাণের বদলে কর্তৃপক্ষকে বাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টি বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ আগে যেসব বাড়ি ভূমিকম্প সহনীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল সেগুলোর বেশিরভাগ গত ৬ ফেব্রুয়ারি ধসে পড়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তুরস্কের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কয়েকটি প্রজেক্টের টেন্ডার এবং কন্ট্রাক্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম খুব দ্রুত গতিতে চলছে।’ তিনি জানিয়েছেন, বাড়ির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে যাওয়া মানুষদের আপাতত তাঁবু দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তার্কিস সরকার। তবে অনেকে অভিযোগ করেছেন, তারা সেগুলো পাচ্ছেন না। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে মালেক নামের ৬৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ বলেছেন, ‘আমার আট সন্তান আছে। আমরা এখন একটি তাঁবুতে বাস করছি। তাঁবুর ওপর পানি জমে আছে আর মাটি স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে আছে। আমরা আরও তাঁবু চাচ্ছি কিন্তু তারা আমাদের সেগুলো দিচ্ছে না।’ হাসসা শহরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহায়তা গ্রহণ করতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মালেক। স্কুলটি বর্তমানে খাদ্য সহায়তা বিতরণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সহায়তা প্রদান করছিল ইন্টারেল তার্কি নামের একটি সংগঠন। ইন্টারেলের একজন ভলান্টিয়ার জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁবুর সংকট তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। অপর এক খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিমতীরের নাবলুসে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর বর্বর হামলার বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। বুধবার ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনে বেসামরিক ও নিরপরাধ লোকজন হতাহতের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’ তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি হুরিয়াত জানিয়েছে, লিখিত বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে- ‘এই অঞ্চলে অধিকতর সহিংসতা ঠেকাতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এই উসকানি ও আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।’ এ ছাড়া ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার পর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও জনগণের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকে ইসরাইল সরকারের এই ‘আগ্রাসী’ প্রবণতা নিয়ে তার সরকারের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ইসরাইলের দখলদার বাহিনীর ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছে আরব দেশগুলোর সংগঠন আরব লীগ। এদিকে বুধবারের ওই হামলার পর অবরুদ্ধ গাজা থেকে ইসরাইলে অন্তত ৮টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এর জবাবে গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। রয়টার্স, ডেইলি হুরিয়াত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ