মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সন্দেহের বশে ১১ বছরের সন্তানকে ভয়ংকর শাস্তি দিলেন বাবা। টাকা চুরির অভিযোগে ছোট্ট ছেলেকে ছাদে নিয়ে উল্টো ঝুলিয়ে রাখেন তিনি। অবুঝ শিশুর অঝোর কান্নায়ও মন গলেনি পাষ- বাবার। অভিযোগ উঠেছে, উন্মত্ত স্বামীর হাত থেকে শিশুপুত্রকে বাঁচানোর বদলে উল্টো উৎসাহ দিয়েছেন সৎমা। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোপালনগর থানার দীঘারী গ্রামে। জানা গেছে, বিশ্বজিৎ সরকার পেশায় চাষি। তার ১১ বছরের সন্তান বিশাল সরকার বাড়ি থেকে ৫০০ রুপি চুরি করেছে বলে অভিযোগ। বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী মিলে ঘরে-বাইরে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও সেই হারানো টাকা না পেলে সন্দেহ গিয়ে পড়ে ছেলে বিশালের ওপর। সৎমা ছেলেটির বাবাকে বলেন, হারানো টাকা বিশালই নিয়েছে। তা শুনে বাবা বিশালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। হারানো ৫০০ রুপি চুরির অভিযোগ অস্বীকার করতেই ছোট্ট ছেলেটির ওপর শাসনের নামে নির্মম-বর্বর অত্যাচার শুরু করেন বিশ্বজিৎ সরকার। শুক্রবার দুপুরে একতলা ভবনের ছাদে নিয়ে বিশালের পা ধরে নিচের দিকে ঝুলিয়ে দেন বিশ্বজিৎ। ছেলে বারবার কাকুতি-মিনতি করলেও তা কানে তোলেননি পাষ- বাবা। এই খবর স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা গোপালনগর থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত বাবাকে আটক করে পুলিশ এবং নির্যাতিত শিশুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিশাল সরকারের সৎমা সুনিতা সরকার বলেন, ঘর থেকে ৫০০ রুপি চুরি হয়েছে। সেটি খুঁজে না পেয়ে বিশালকে জিজ্ঞাসা করা হয়। কিন্তু সে চুরির কথা অস্বীকার করায় ওর বাবা এই কাজটি করেন। সুনিতার দাবি, বিশাল মাঝেমধ্যেই টাকা চুরি করতো। সে কারণে তার বাবা একটু-আধটু মারও দিতো। তিনি বলেন, বিশালকে মাঝেমধ্যে অল্প করে টাকা দেওয়া হতো। তারপরেও কীসের জন্য চুরি করতো সেটি আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। রাগের মাথায় ওর বাবা হয়তো এই কাজটি করে ফেলেছে। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।