নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ওয়েলিংটন টেস্ট শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। কিন্তু এই সময়ের বাস্তবতাই এমন যে, একই দেশের দুটি দল দুই দেশে সফরে থাকা খুবই সাধারণ ঘটনা। জস বাটলারের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের দল যেমন এ দিন সকালেই পা রেখেছে ঢাকায়। দুই ভাগে ভাগ হয়ে ইংল্যান্ড দল সকালে পৌঁছেছে বাংলাদেশে। বিমানবন্দর থেকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা চলে যান হোটেল সোনারগাঁয়ে। দলের পেসার সাকিব মাহমুদ অবশ্য চলে এসেছেন আগের দিনই। ইংল্যান্ড লায়ন্সের (‘এ’ দল) হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে ছিলেন এই পেসার।
আগের সূচি অনুযায়ী ইংলিশদের আসার কথা ছিল ২০ ফেব্রুয়ারি। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলার কথা ছিল তাদের। তবে পরে বদলে যায় সেই সূচি। এখন নেই কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে দুই দলের ওয়ানডে সিরিজ। আগামী ১ ও ৩ মার্চ প্রথম দুটি ম্যাচ হবে সেখানে। শেষ ওয়ানডের ভেন্যু চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৬ মার্চ। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ এই সিরিজ। দুই দলই অবশ্য বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে ফেলেছে। চট্টগ্রামেই শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ৯ মার্চ সেখানে প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ঢাকায় ফিরবে দুই দল। মিরপুরে পরের দুটি টি-টোয়েন্টি হবে ১২ ও ১৪ মার্চ। ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশ ছেড়ে যাবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার পরদিনই।
জস বাটলারের নেতৃত্বাধীন দল এবারের সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। ২০১৬ সালের পর এটাই তাদের প্রথম বাংলাদেশ ভ্রমণ। বাংলাদেশ ঘরের মাঠে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল ইংল্যান্ডের কাছেই, ২০১৬ সালে। সে সময় বাংলাদেশের প্রধান কোচ ছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। অনেক পথ পেরিয়ে এখন আবার তিনি প্রধান কোচ। তার নতুন মেয়াদ শুরু হচ্ছে ইংলিশ-চ্যালেঞ্জ দিয়েই। সেবার সিরিজ জিতে যাওয়া ইংল্যান্ড এবার এসেছে দুই সংস্করণের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। আজ থেকে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে প্রস্তুতি শুরু করার কথা ইংলিশদের।
আরও তিন দিন আগ থেকেই নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ শিবির। গতকাল ছিল আনুষ্ঠানিক ম্যাচ ‘ম্যাচ সিনারিও’ অনুশীলন। উপস্থিত থেকে দেখছিলেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার। সঙ্গে ছিলেন আরেক নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক। বিকেলের দিকে ড্রেসিংরুমের সামনে থাকা ক্রিকেটার ও কোচদের সঙ্গে দেখা করতে এলেন দুজন। পরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ঘরের মাঠে হারানোর সম্ভব কি না, তা নিয়ে কথা বললেন হাবিবুল। সাবেক এই অধিনায়কের আত্মবিশ্বাস, ইংল্যান্ডকে হারানো খুবই সম্ভব, ‘আমরা তো বড় বড় দলকে হারাচ্ছিই। শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে তাদের হারিয়েছি। আমরা যতগুলো সিরিজ জিতেছি, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকারটা সেরা। কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের কন্ডিশনে হারানো খুবই কঠিন। আমরা ৫০ ওভারে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছি, সবার সঙ্গেই। ভারতও অনেক শক্তিশালী দল নিয়ে এসেছিল। তাদেরকেও তো হারালাম।’
বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে ২০১৬ সালে, এই ইংল্যান্ডের কাছেই। এরপর ঘরের মাঠে ১৩টি ওয়ানডে সিরিজের একটিতেও হারেনি। সেই ইংল্যান্ড দল এবার বাংলাদেশে এসেছে সাদা বলের ক্রিকেটে রাজা হয়ে। তবে হাবিবুল ইংল্যান্ডের চেয়েও ভারতকে কঠিন প্রতিপক্ষ মনে করেন। রোহিত শর্মার দলকে যখন হারানো গেছে, ইংল্যান্ডকেও সম্ভব বলে মনে করেন সাবেক এই অধিনায়ক, ‘দেখুন, উপমহাদেশের কন্ডিশন অনুযায়ী ভারত কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ছিল। আমি কোনো দলকেই খুব বেশি এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখব না। ইংল্যান্ড অবশ্যই ভিন্ন ধারার ক্রিকেট খেলছে, তিন সংস্করণেই। অন্য দল যেমন ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা- সবাই ভালো দল। জিততে হলে আমাদের সবাইকেই ভালো খেলে জিততে হবে। এমন নয় যে ইংল্যান্ড দলে আমাদের ভিন্ন কিছু করতে হবে। আমরা যা ভালো করছি, সেটাই যদি ধারাবাহিকভাবে করতে পারি, তাহলে আমার মনে হয় না আমাদের আলাদাভাবে কিছু করতে হবে।’
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ব্যাপারেও কথা বলেছেন হাবিবুল। তার ধারণা, বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে জানাশোনা থাকায় দ্বিতীয় মেয়াদে কাজ শুরু করলেও দলের সঙ্গে মিশে যেতে সমস্যা হচ্ছে না এই শ্রীলঙ্কানের, ‘কোচরা সবাই পেশাদার। চন্ডিকা কিন্তু বাংলাদেশ সম্পর্কে জানে। অন্য কেউ এলে একদম নতুন করে শুরু করতে হতো। ওই রকম নয়। সেদিক থেকে সে এক ধাপ এগিয়ে আছে। সে দলটা সম্পর্কে জানে। সংস্কৃতি সম্পর্কে জানে। পরিবেশ সম্পর্কে জানে। সেদিক থেকে ওই সময়টা স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের থেকে একটু কম লাগবে। আর ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি, বিষয়টা মূলত খেলোয়াড়দের। তারা কেমন পারফর্ম করছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো কিছুই হবে। এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সবাই সবার দায়িত্বটা বোঝে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।