Inqilab Logo

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাহাজ নির্মাণে চীনের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০৩ এএম

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সাগর-মহাসাগরে নিজেদের শক্তি দেখাতে তৎপর চীনের নৌবাহিনী বড় নৌবহর ও বৃহত্তর জাহাজ নির্মাণ সক্ষমতায় তাদের মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তা। ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে দেওয়া বক্তৃতায় মার্কিন নৌবাহিনীর সেক্রেটারি কার্লোস দেল তোরো বলেছেন, “চীন ধারাবাহিকভাবে দক্ষিণ চীন সাগর ও অন্যত্র আমাদের মিত্রসহ বিভিন্ন দেশের সামুদ্রিক সার্বভৌমত্ব লংঘনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” চীনকে মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রকেও তার বহরের আধুনিকায়ন করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “তাদের এখন বড় নৌবহর, সেজন্য তারা সেগুলো বিশ্বব্যাপী মোতায়েন করছে। আমাদেরও বড় নৌবাহিনী দরকার, ভবিষ্যতে আমাদের আরও জাহাজ দরকার হবে, বিশেষ করে হুমকি মোকাবেলায় ভবিষ্যতে আমাদের আরও আধুনিক জাহাজ লাগবে।” চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) আসছে বছরগুলোতে তার যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা এখনকার ৩৪০ থেকে বাড়িয়ে ৪০০তে উন্নীত করতে পারে বলেও দেল তোরো আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, জানিয়েছে সিএনএন। যুক্তরাষ্ট্রের বহরে এখন যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা তিনশর নিচে। গত গ্রীষ্মে প্রকাশিত মার্কিন নেভির নেভিগেশন প্ল্যান ২০২২ অনুযায়ী, পেন্টাগনের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪৫ সালের মধ্যে সাড়ে তিনশ মনুষ্যবাহী যুদ্ধজাহাজ হাতে পাওয়া, যা ওই সময়ে চীনের বহরে থাকা জাহাজের তুলনায় অনেক কম থাকবে। ২০৪৫ সালের লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগে পুরনো অনেক নৌযান ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যাবে, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বহরের আকার আরও সংকুচিত হবে বলে গত নভেম্বরে দেওয়া মার্কিন কংগ্রেসনাল বাজেট দপ্তরের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। দেল তোরো বলেছেন, মার্কিন নৌ জাহাজ নির্মাণ কারখানাগুলো চীনের কারখানাগুলোর উৎপাদিত নৌযানের সংখ্যা ও আকারের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। “তাদের ১৩টি জাহাজ নির্মাণ কারখানা আছে, কোনো কোনো কারখানার সক্ষমতা অনেক বেশি, একটি কারখানার সক্ষমতা আমাদের চারটি কারখানার সক্ষমতার তুলনায় বেশি। এটাই হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে,” বলেছেন তিনি। কোথায় কোথায় চীনের ওই কারখানাগুলো আছে, সেগুলোর সক্ষমতা কেমন তা ভেঙে বলেননি দেল তোরো; তবে চীনা ও পশ্চিমা দেশগুলোর বিভিন্ন প্রতিবেদনে চীনে ৬টি বড় ও দুটি ছোট নৌযান নির্মাণ কারখানা আছে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ৭টি জাহাজ নির্মাণ কারখানা মার্কিন নৌবহিনী ও কোস্ট গার্ডের জন্য গভীর সমুদ্রে চলাচলে সক্ষম এমন যান বানান বলে সেন্টার ফর ন্যাশনাল ডিফেন্সের ব্রেন্ট স্যাডলারের অক্টোবরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কেবল জাহাজ নির্মাণ কারখানাতেই নয়, কর্মীসংখ্যা বিবেচনায়ও চীন এগিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন দেল তোরো। এর পেছনে চীনে যুক্তরাষ্ট্রের মতো শ্রমকে প্রভাবিত করে এমন বিধিনিষেধ, নিয়মকানুন ও অর্থনৈতিক চাপ নেই, বলেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে দক্ষ শ্রমিক। পাশাপাশি চীন এমন অনেক কিছুও করতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্র পারে না, বলেছেন মার্কিন নৌবাহিনীর এ সেক্রেটারি। সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ