ওয়ানওয়েব কোম্পানির ৩৬টি উপগ্রহের একটি ব্যাচ যুক্তরাষ্ট্র থেকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারতে পৌঁছেছে। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে সেগুলো উৎক্ষেপণ করা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক স্যাটেলাইট যোগাযোগ সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। এদিকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) শনিবার বলেছে, উপগ্রহগুলো উৎক্ষেপণের জন্য তাদের সবচেয়ে ভারী রকেট প্রস্তুতের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
ওয়ানওয়েব বলেছে, ফ্লোরিডা থেকে প্রায় ৯ হাজার মাইল ভ্রমণের পর আমাদের উপগ্রহগুলো সফলভাবে ভারতে পৌঁছেছে। সেগুলো উৎক্ষেপণের আগে আমরা ইসরো এবং নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ শুরু করেছি।
ইসরোর লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ দ্বারা এই যোগাযোগ উপগ্রহগুলো উৎক্ষেপণ করা হবে। গত বছরের অক্টোবরে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ওয়ানওয়েবের ৩৬টি উপগ্রহের প্রথম ব্যাচ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করে; যা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণ পরিষেবা বাজারে রকেটটির পর্দাপণকে চিহ্নিত করে।
এর এক সপ্তাহ পরে ইসরো তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগিরিতে তার প্রপালশন কমপ্লেক্সের উচ্চ-উচ্চতা পরীক্ষা সুবিধায় সিই-২০ ইঞ্জিনের ফ্লাইট গ্রহণযোগ্যতার ‘হট টেস্ট’ সফলভাবে পরিচালনা করে ২৫ সেকেন্ডের জন্য।
প্রাইভেট স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কোম্পানি ওয়ানওয়েব ভারতের ভারতী এন্টারপ্রাইজের একটি প্রধান বিনিয়োগকারী এবং শেয়ারহোল্ডার হিসেবে রয়েছে। নিউস্পেস ইন্ডিয়া, মহাকাশ বিভাগের অধীনে একটি কেন্দ্রীয় পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ। এর আগে লন্ডন-সদর দপ্তরে নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস অ্যাসোসিয়েটেড লিমিটেডের সঙ্গে দুটি লঞ্চ পরিষেবা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা ওয়ানওয়েব চালায়।
ইসরোর এলভিএম৩ রকেট জিওসিঙ্ক্রোনাস ট্রান্সফার কক্ষপথে চার টন ওজনের উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম। এটি দুটি কঠিন মোটর স্ট্র্যাপন, একটি তরল প্রোপেলান্ট কোর স্টেজ এবং একটি ক্রায়োজেনিক স্টেজসহ একটি তিন-স্তরের যান। ওয়ানওয়েবের উপগ্রহগুলো পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ১২০০ কিলোমিটার উচ্চতায় কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।