ভারতের জ্বালানি শক্তি চাহিদা কীভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে এবং বিশ্বব্যাপী বর্তমান ৫ শতাংশ চাহিদার তুলনায় কীভাবে ১১ শতাংশে পৌঁছাবে, সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা সেটি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশটির এই বর্ধিত চাহিদা আর জ্বালানি প্রতিশ্রুতির কারণে শক্তি সংস্থাগুলোর জন্য ব্যাপক বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেখানে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ জলবায়ু লক্ষ্য পূরণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
এশিয়ান লাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, জি২০ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ভারত সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড গ্রোথ ট্রায়াঙ্গেল জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে, যাতে এই অঞ্চলে জ্বালানির কার্যক্ষমতা ও টেকসই চর্চাগুলোকে আরও সম্প্রসারিত করা যায়।
ভারতের বিদ্যুৎ সচিব অলোক কুমার বলেছেন, শক্তি সুরক্ষা আর বিভিন্ন সরবরাহ চেইনের প্রয়োজনীয়তার প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জি২০ সদস্য দেশগুলো।
সরকারের লক্ষ্য রয়েছে ২০৭০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ শূন্যতে আনা। সেজন্য ২০২৩ সালের বাজেটে অগ্রাধিকারমূলক মূলধন বিনিয়োগ হিসাবে ৩৫ হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
ভারতের জ্বালানি শক্তি রূপান্তরের কথা বিবেচনায় রেখে এই গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে, ভারতের নীতি ও প্রতিশ্রুতিও নাগরিকবান্ধব। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন নীতিগুলো সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং টেকসই হতে হবে। যে সেক্টরগুলোতে কার্বন নির্গমণ বন্ধের সুযোগ কম বা ব্যয়বহুল সেগুলোর ওপর ফোকাস করতে হবে। এক্ষেত্রে কার্বন শূন্য লক্ষ্য অর্জনে গ্রিন হাইড্রোজেন গুরুত্ব ভূমিকা পালন করবে।
গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য একটি বৈশ্বিক কেন্দ্রে হিসেবে গড়ে ওঠার লক্ষ্যও রয়েছে ভারতের। এই মিশনে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ মিলিয়ন টন গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯ হাজার ৪৪৪ কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। কয়লা নির্ভর একটি দেশ থেকে রূপান্তর ঘটিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব হতে ভারত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে।