পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য আল্লাহ পবিত্র হজ ফরজ করেছেন। বাংলাদেশের অনেক মানুষ প্রতি বছর সউদী আরবে গিয়ে পবিত্র হজ পালন করে থাকেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনার পর এবার স্বাভাবিকভাবে হজ কার্যক্রম চলার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অথচ বিমান ভাড়াসহ খরচ বাড়িয়ে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশের হজ গমনেচ্ছুক হাজারো মানুষ। হজব্রত পালনে সউদী আরব যেতে অবলম্বন একমাত্র ‘আকাশপথ’ হওয়ায় সুযোগ বুঝে উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলো ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত টাকার জোগান দিতে না পারায় হজ করার বদলে ওমরা করার প্রক্রিয়া শুরু করছেন। সেখানেও টিকিট সিন্ডিকেট থাবা বসিয়েছে। অথচ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথ ছাড়াও কম খরচে সমুদ্রপথ ও স্থল (ট্রেন) পথে হজব্রত পালন করতে সউদী আরব যাওয়া যায়। বিশ্বের অনেক দেশ হজ গমনেচ্ছুদের কম খরচে সমুদ্র ও সড়কপথে সউদী নিয়ে যাচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সমুদ্রপথে হজ গমনেচ্ছুদের নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হলেও রহস্যজনক কারণে সে উদ্যোগ আটকে গেছে।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে স্থল, পানি এবং আকাশ তিন পথেই বাংলাদেশিদের হজে সউদী আরব যাওয়া সম্ভব। স্থল ও নৌপথে হজে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। স্থলপথে ট্রেনে করে ভারত, পাকিস্তান ও ইরান হয়ে সউদী আরবের মক্কায় পৌঁছা সম্ভব। আর নৌপথে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে আরব সাগর হয়ে জেদ্দা সমুদ্রবন্দর দিয়ে মক্কা মোকাররমায় পৌঁছা সহজতর। তবে এ জন্য সর্বাগ্রে দরকার বাংলাদেশ সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ও কূটনৈতিক উদ্যোগ। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সেই সড়কপথ ও নৌপথে হজে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হজে করতে বিমানেই যেতে হচ্ছে। ফলে ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়িয়ে এবং জটিলতা সৃষ্টি করে ‘হজ করার নিয়ত’ করা মানুষের আগ্রহ কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে করে সামর্থ্যবান অনেকেই অতিরিক্ত খরচ বহন করতে ব্যর্থ হয়ে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজে যেতে পারছেন না। তারা কিছুটা কম খরচে ওমরা পালনের নিয়ত করছেন। সেখানেও সিন্ডিকেট করে উড়োজাহাজের টিকিটের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত খরচের কারণে হজ করতে পারছেন না এমন অনেকেই আসন্ন মাহে রমজানে বুকভরা আশায় রয়েছেন পবিত্র মক্কা-মদিনায় গিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। কিন্তু সেখানেও উড়োজাহাজের টিকিট সঙ্কটের বেড়াজাল সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর হজের ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই হজের প্রতি অনীহা প্রকাশ করে ওমরাহ পালনের দিকে ঝুঁকছেন। হজযাত্রীদের চূড়ান্ত নিবন্ধন আশানুরূপ না হওয়ায় গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্বের সিরিয়াল অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে নিবন্ধনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়ে গতকাল প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হয়। টিকিট সিন্ডিকেটের ব্লক কার্যক্রম অঘোষিতভাবে চালু থাকায় ওমরা টিকিটের মূল্য আরো একশ’ ডলার করে বাড়লেও আসন্ন রমজানের টিকিট পাওয়াই যাচ্ছে না। আবার বেশি টাকা দিলে টিকিট মিলছে। টিকিটের টাকা যোগাতে নাভিশ্বাস উঠছে ওমরা ও বিদেশগামী যাত্রীদের।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট (হজ) ও উপ-সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহীন গতকাল ইনকিলাবকে জানান, প্রথম পর্বে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গতকাল পর্যন্ত ৬ হাজার ১৯৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৬৭৭ জন নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। নিবন্ধন কার্যক্রমে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় পূর্বের সিরিয়াল অনুযায়ী আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সউদী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছর প্রথমবারের মতো হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হজ ভিসা ইস্যু কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। তিনি বলেন, করোনা টিকার পাশাপাশি ২০২২ সালের নিয়ম অনুযায়ী হজযাত্রীদের আরো দু’টি টিকা দিতে হবে।
সউদী-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রী হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার বাকিরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন। হজ এজেন্সি মারওয়াহ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মাহবুব বিন আলাউদ্দিন বলেন, চলতি বছর হজে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রমে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। আমার অধীনে ৯শ’ হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত মাত্র ৩৫ জন হজযাত্রী চূড়ান্ত নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন মাত্র। ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটের টিকিট কিনতে ওমরাযাত্রীদেরও গলদঘর্ম। কাক্সিক্ষত সিট না পাওয়ায় অনেক ওমরাযাত্রী বিজনেস ক্লাসের টিকিট দেড় থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওমরাহযাত্রী ও বিদেশগামী কর্মীদের বিমানের টিকিট এখন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। ডলার সঙ্কটের মধ্যে বিমানসহ এয়ারলাইন্সগুলো টিকিটের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট সিন্ডিকেট চক্র ‘ব্লক’ করে রেখেছে। বিদেশগামী কর্মীদের চড়া দামে টিকিট কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে। আগামী রমজান মাসে ওমরাযাত্রীরা কোনো টিকিট পাচ্ছেন না। বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে শুধু বিজনেস ক্লাসের সিট শো করছে। একাধিক ওমরাহ এজেন্সির মালিক প্রতিনিধি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাবের ইসির সদস্য অলিউর রহমান ইনকিলাবকে জানান, গত দু’সপ্তাহের ব্যবধানে এয়ারলাইন্সগুলো সউদীগামী টিকিটের দাম গড়ে ১শ’ মার্কিন ডলার করে বাড়িয়েছে। এতে ওমরাযাত্রী ও বিদেশগমনেচ্ছু কর্মীদের বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।
হজযাত্রীদের বিমান ভাড়াও এবার এক লাফেই জনপ্রতি ৫৭ হাজার টাকা করে বেড়েছে। ২০২২ সালের হজে যাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এবার হজের প্যাকেজে বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ২০২২ সালে হজের প্যাকেজ মূল্য ছিল ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। এবার হজ প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এতে অনেক প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী ব্যয় বৃদ্ধির কারণে চূড়ান্ত নিবন্ধন না করে হজের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কেউ কেউ বলছেন, এত টাকা দিয়ে হজে যাওয়ার সামর্র্থ্য নেই বিধায় আমরা ওমরাহ পালন করব।
আলটিমেট এয়ার ইন্টারন্যাশনালের সিইও মোহাম্মদ সালামত উল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, ওমরাযাত্রী ও বিদেশগমনেচ্ছু কর্মীদের টিকিটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকিটের টাকা যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন যাত্রীরা। গত জানুয়ারি মাসে গালফ এয়ার ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটের টিকিট বিক্রি করেছে ৭০০ ডলার। ফেব্রুয়ারি মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫০ ডলারে। জানুয়ারিতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ভাড়া ছিল ৮শ’ ডলার। ফেব্রুয়ারি মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩শ’ মার্কিন ডলার। এমিরেটস এয়ারলাইন্স রমজান মাসের টিকিট বিক্রি করছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গত জানুয়ারি মাসে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটের টিকিট বিক্রি করেছে ৮৫০ ডলারে। ফেব্রুয়ারি মাসে একই টিকিট বিক্রি করছে ১ হাজার ৫০ ডলারে। বিমানে রমজান মাসে কোনো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু বিজনেস ক্লাসের টিকিট শো করছে। মারওয়াহ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মাহবুব বিন আলাউদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, বিমানের টিকিটের কৃত্রিম সঙ্কটের দরুন ওমরাযাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে। আগামী ৮ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিমানের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটের ভাড়া শো করছে ১১শ’ মার্কিন ডলার। রমজানেও যাত্রীদের কোনো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।
বেশ কয়েক মাস ধরেই ডলার সঙ্কটের দরুন বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো টিকিট বিক্রয়লব্ধ অর্থ স্ব-স্ব দেশে পাঠাতে পারছে না। এতে ঢাকা স্টেশনে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির পরিবর্তে টিকিটের মূল্য দফায় দফায় বাড়াচ্ছে তারা। বিমানের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধিতে প্রবাসীরা হিমশিম খাচ্ছেন। ডলার সঙ্কট অব্যাহত থাকলে আগামী হজেও বিমান ভাড়া নিয়ে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। রিয়ালের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে হজের সার্বিক ব্যয়ও বাড়তে পারে। সংশ্লিষ্ট মহল এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আটাব মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ ইনকিলাবকে বলেন, এবার হজ প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই হজে যেতে অনীহা প্রকাশ করে ওমরাহ পালনের দিকে ঝুঁকছেন। এ জন্য আসন্ন রমজানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর ওমরাযাত্রী ওমরা পালনের জন্য সউদী গমন করবেন। বর্তমানের প্রতি সপ্তাহের সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ১৪টি ফ্লাইট এবং বিমানের ১০টি ফ্লাইট সউদীর জেদ্দা-মদিনা রুটে পরিচালিত হচ্ছে। এতে ওমরাযাত্রী ও সউদীগামী কর্মীরা চাহিদানুযায়ী টিকিট পাচ্ছেন না।
আটাবের কালচারাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ তোহা চৌধুরী বলেন, টিকিটের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবাসী যাত্রীদের বিমানের টিকিটের দাম দিন দিন আকাশচুম্বী হচ্ছে। টিকিটের টাকা যোগাতে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের চড়া সুদে ঋণ এবং ভিটেমাটি বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে অভিবাসন ব্যয়ও বাড়ছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিমানের হজযাত্রী কম হবে এই আশঙ্কা থেকেই সরকার নৌপথ ও সড়কপথে হজযাত্রীদের সউদী আরব নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। এবার হজের প্যাকেজ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। কোরবানিসহ অন্যান্য খরচ মিলে একজন হাজির ৭ লাখ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা খরচ হবে। অথচ নৌপথ ও সড়কপথে সউদী আরব নেয়ার ব্যবস্থা করা হলে হজযাত্রীদের ১ থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ কম হবে। গত কয়েক বছর ধরে বিমানে হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সমুদ্রপথে হজে যাওয়ার সুযোগটি চালুর চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছিল। সে সময় বলা হয়, প্রতি বছর আগ্রহী ১৮ হাজার হজযাত্রী নৌপথে জাহাজে হজে যেতে পারবেন। কিন্তু অজানা কারণে সেই সাশ্রয়ী খরচের সমুদ্রপথটি শেষ পর্যন্ত আর চালু হয়নি। এবারও বাংলাদেশের হজযাত্রীদের সমুদ্রপথে সউদী আরব আনা-নেয়া করতে জাহাজ নামাতে চেয়েছিল কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি বলেছিল, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সউদী আরবের জেদ্দা বন্দরে যেতে জাহাজে সময় লাগবে ১০ দিন। যাওয়া-আসা ও হজের আনুষ্ঠানিকতা মিলিয়ে হজযাত্রীদের মোট সময় লাগবে ৩৭ দিন। জাহাজে গেলে উড়োজাহাজের চেয়ে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ কম হবে। হজযাত্রীদের নেয়ার জন্য সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি চেয়ে প্রতিষ্ঠানটি নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল।
জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি প্রস্তাবটি নিয়ে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আলোচনা হয়। নৌপরিবহণ সচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় সমুদ্রপথে হজযাত্রী নিয়ে পক্ষে–-বিপক্ষে মতামত আসে। কেউ কেউ জাহাজে করে সমুদ্রপথে হজ করতে যাওয়াকে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে সউদী সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। দেশটি রাজি হলে তখন অন্যান্য প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু সেই উদ্যোগ আর এগোয়নি। ফলে হজ গমনেচ্ছুদের সউদী আরব যাওয়ার একমাত্র উড়োজাহাজ হওয়ায় দফায় দফায় টিকিটের দাম বাড়ানো হচ্ছে। ফলে অনেক মানুষ নিয়ত করার পরও খরচ বেশি হওয়ায় হজে যেতে পারছেন না। হজে যেতে না পারাদের যারা ওমরাহ করার নিয়ত করেছেন তারাও আটকে গেছেন টিকিট সিন্ডিকেটের কারণে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।