মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ওয়াশিংটন ডিসির লিংকন মেমোরিয়ালে ন্যাটো ভেঙ্গে দিতে ও ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো বন্ধের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দেশটির সাবেক সিনেটর এবং সাংবাদিকরাও ছিলেন। তারা রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শান্তি-আলোচনায় বসার এবং বহুমেরুবিশিষ্ট বিশ্ব প্রতিষ্ঠার দাবিও জানান। ‘মার্চ এগেইন দ্য ওয়ার মেশিন’ শীর্ষক ওই বিক্ষোভে বক্তারা ‘মার্কিন সরকারকে কূটনৈতিক সমাধানের জন্য ইউক্রেনের সামরিক সমর্থন বন্ধ করার এবং অসংখ্য অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য পেন্টাগনের বাজেট কমানোর’ আহ্বান জানান। সাবেক মার্কিন সিনেটর টারা রিড বিক্ষোভস্থলে বলেন, কেন্দ্রবিন্দু এখন আফগানিস্তান থেকে ইউক্রেনে স্থানান্তরিত হয়েছে। এসব বন্ধ করতেই হবে। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে শত্রুতা শুরু হওয়ার প্রায় এক বছর পরে এই ইভেন্টটি আসে এবং এতে বেশ কয়েকজন সাবেক রাজনীতিবিদ, জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। সেখানে গ্রিন পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডক্টর জিল স্টেইন পেন্টাগনের বাজেট কমানোর দাবি জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ইউক্রেন যুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য যে বিপুল বাজেট ব্যয় করা হয়েছে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা প্রশমিত করতে সহায়তা করতে পারে।‘এই হত্যামূলক সামরিক ব্যয় এখানে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সংস্থানগুলোকে গ্রাস করে: স্বাস্থ্য বীমার অভাবে প্রতি বছর ৭০ হাজার মানুষ মারা যায়; প্রায় ৫ লাখ গৃহহীন লোক রাস্তায় ঘুমায়; ৩ কোটি ৩০ লাখ ছাত্রকে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পড়ালেখা করতে হয়, ১০ কোটি ডলারের চিকিৎসা ঋণ, ২ কোটি ২০ লাখ দরিদ্র শিশু এবং আরও অনেক কিছু,’ তিনি বলেন। অপরদিকে, মঙ্গলবার মস্কোতে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও চীনা কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিশন কার্যালয়ের পরিচালক ওয়াং ই, রুশ ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের সচিব পাত্রুশেভের সঙ্গে, চীন-রাশিয়া কৌশলগত নিরাপত্তা পরামর্শব্যবস্থার আওতায় এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে তারা বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তারা যৌথভাবে বহুপক্ষবাদ অনুসরণের এবং সবধরনের একতরফাবাদের বিরোধিতার করার ব্যাপারে একমত হন। আলোচনায় দু’পক্ষ বহুপাক্ষিক কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে এবং বৈশ্বিক পরিচালনাব্যবস্থার উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারেও একমত হয়। দু’পক্ষ মনে করে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করা এবং স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা, গোষ্ঠী সংঘর্ষ ও আদর্শিক সংঘাতের বিরোধিতা করা উচিত। বৈঠকে ইউক্রেন সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সিনহুয়া, সিআরআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।