মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে লন্ডন থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার আইনি লড়াইয়ে হেরেছেন। এর ফলে তিনি আর সে দেশে ঢুকতে পারবেন না।
স্থানীয় সময় বুধবার ব্রিটেনের একটি আদালত তার এ সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার বিচারকাজ হয় এমন আংশিক-গোপন আদালতে শামীমার নাগরিকত্ব বাতিলের বৈধতা নিয়ে করা চ্যালেঞ্জের বিষয়টির শুনানি হয়। আদালতের বিচারক বলেছেন, নাগরিকত্ব ফিরে পাবেন না শামীমা বেগম। তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন না।
আল জাজিরা জানিয়েছে, বুধবারের রায়টি শামিমার জন্য ‘স্পষ্টতই একটি ধাক্কা’। তিনি এখনও উত্তর সিরিয়ার শিবিরে রয়েছেন যেখানে তাকে ২০১৯ সাল থেকে বসবাস করতে দেখা গেছে। তবে তিনি যে আইনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারেন তা এখানেই শেষ নয়, তিনি যুক্তরাজ্যের আপিল আদালতে এবং এর পরে সুপ্রিম কোর্টেও যেতে পারেবেন। তার আইনজীবীরা এমনকি পরামর্শ দিয়েছেন যে, ‘মামলাটি ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতেও যেতে পারে।’
শামিমার আইনি দল যুক্তি দিয়েছিল যে, যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিনি ‘পাচারের শিকার শিশু’ কিনা তা তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বলেছে, শামিমাকে ‘যৌন শোষণের উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় নিয়োগ, পরিবহন, স্থানান্তর, আশ্রয় দেয়া এবং গ্রহণ করা হয়েছে’ এ সংক্রান্ত অপ্রতিরোধ্য প্রমাণ রয়েছে। তার আইনজীবীরা আরও বলেছে, তিনি এবং তার বন্ধুদের সিরিয়ায় প্রবেশের জন্য ‘আইএসআইএসের জন্য কাজ করা একজন কানাডিয়ান এজেন্ট সহায়তা করেছিল’।
বিবিসি জানিয়েছে, আট বছর আগে আইএসে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য ছেড়েছিলেন শামীমা। ২০১৯ সালে তার জন্য দেশটির দরজা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি দেশটিতে ফিরতে আদালতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই বান্ধবীসহ যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়ায় যান শামীমা। তারা বাংলাদেশি–অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির ছাত্রী ছিলেন।
সিরিয়ায় পৌঁছে শামীমা ডাচ্ বংশোদ্ভূত আইএস জঙ্গি ইয়াগো রিদাইককে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালের দিকে তিনি একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। কিছুদিন পর শিশুটির মৃত্যু হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসে যোগ দেয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকার শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করে তাকে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে।
জিহাদি বধূ হিসেবে সংবাদমাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া ২৩ বছর বয়সী শামীমা ২০১৯ সালে ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত খেলাফতের পতন হবার পর থেকেই সিরিয়ার একটি বন্দিশিবিরে বাস করছেন। ২০১৯ সালে বিতর্কের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, শামীমা বেগম বাংলাদেশের নাগরিক নন। তাকে বাংলাদেশে ফিরতে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। শামীমাও বিবিসির সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেই এবং তিনি কখনও বাংলাদেশে ছিলেন না। সূত্র: স্কাই নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।