শুরু ও শেষের কি দারুণ বৈপরীত্য! ঘরের মাঠ এনফিল্ডে খেলা দেখতে আসা হাজারো লিভারপুল সমর্থকদের ম্যাচ শেষের স্কোরকার্ড অবিশ্বাস্য লাগার কথা।ম্যাচে প্রিয় দলের দারুণ শুরু দেখার পর তাদের কেউ হয়ত ভাবতেই পারেননি এমন ঝড়ের আঘাত অপেক্ষা করছিল।
চ্যাম্পিয়ন লীগের শেষ ষোলোর হাইভোল্টেজ ম্যাচে গতকাল ঘরের মাঠে লিভারপুল মুখোমুখি হয়েছিল স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের।এদিন ক্রুস,চুয়ানিকে ছাড়াই শুরুর একাদশ সাজাতে হয়েছিল রিয়াল বস কার্লো আনচেলেত্তিকে।
শুরু থেকেই মাঠে ছিল রেডসদের আধিপত্য।চতুর্থ মিনিটে নুনেজের দারুণ ফ্লিকে এগিয়ে যায় লিভারপুল। রিয়াল গোলরক্ষকের থিবো কর্তোয়ার ভুলের সুযোগে ১৪তম মিনিটে ব্যবধান দিগুণ করেন মোহাম্মদ সালাহ।অনেকেই ম্যাচের ফলাফল তখনই দেখে ফেলেছিলেন।লিভারপুলের জয়টা কত বড় ব্যবধানে আসে সেটিই দেখার অপেক্ষা সবার।
তবে এরপর যা হয়েছে তা এক কথায় অবিশ্বাস্য।লিভারপুলের জন্য দুঃস্বপ্নের,রিয়ালের জন্য রুপকথার।শুরুতে খাপছাড়া লস ব্লাংকোসরা দ্রুতই নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়।গোল শোধে চালাতে থাকে একের পর এক আক্রমণ।
২১ তম মিনিটে দারুণ এক গোলে রিয়ালের স্মরণীয় প্রত্যাবর্তনের গল্পটা শুরু করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র।ম্যাচে কর্তোয়ার মত এরপর লিভারপুলের গোলরক্ষক এলিসনও দৃষ্টিকটু এক ভুল করে বসলেন।সেটি ফায়দা নিয়ে ৩৬ তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-২ করে ফেলেন ভিনি।চ্যাম্পিয়নস লীগে ৫৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে অ্যানফিল্ডে সফরকারী দলের খেলোয়াড় হিসেবে জোড়া গোল করলেন ২২ বছর বয়সী ভিনিসিউস।
২-২ এ প্রথমার্ধ শেষ করা রিয়াল বিরতির পর ছিল অপ্রতিরোধ্য।খোলসবন্দী না হয়ে আরও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে রিয়াল।৪৭ তম লুকা মদ্রিচের ফি-কিকে হেডে জালে পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে দেন মিলতাও।এরপর দৃশ্যপটে রিয়ালের সবচেয়ে বড় তারকা করিম বেনজেমা।৫৫ ও ৬৭ মিনিটের তার দারুণ দুইটি গোলে ৫-২ এ পরিণত হয় স্কোরকার্ড।বড় জয় নিশ্চিতের পর রিয়াল মাঠে কোনরকম ঢিলেমি দেখায়নি। রক্ষণ সামলে শেষ পর্যন্ত তারা তিন গোলের লিড ধরে রেখেই মাঠ
ছাড়ে।
টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ঠেকাতে ফিরতি লেগে নাটকীয় কিছুই করে দেখাতে হবে লিভারপুলকে। আগামী ১৫ মার্চ রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে হবে পরের ম্যাচটি।দিনের অন্য ম্যাচে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের মাঠে ২-০ গোলে জিতেছে সেরি আয় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা নাপোলি।