মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাজস্থানের দুই বাসিন্দা জুনাইদ আর নাসিরের গরুর গোশত পাচারের অভিযোগে হরিয়ানার ভিওয়ানিতে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় গোটা ভারত স্তম্ভিত। গো-রক্ষকদের তাণ্ডবে এমন নারকীয় ঘটনায় গায়ে কাঁটা দেয়। তদন্তে নেমে রাজস্থান পুলিশ বেশ কয়েকজনের নামে এফআইআর দায়ের করেছে। তাদের মধ্যে তিনজন হল হরিয়ানা পুলিশের খোঁচড় বা ইনফর্মার। তারা পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন অভিযানেও যেত বলে খবর।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তথ্য ঘেঁটে জানতে পেরেছে, রিঙ্কু সাইনি, লোকেশ সিংলা এবং শ্রীকান্ত নামে তিন ইনফর্মারের নামে অন্তত চারটি এফআইআর দায়ের হয়েছে গত দু’মাসে। ফিরোজপুর ঝিরকা এবং নাগিনা থানায় অভিযোগ দায়ের রয়েছে। পাঁচজন মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জুনাইদ এবং নাসিরের খুনের অভিযোগ উঠেছে। তারা প্রত্যেকেই গো-রক্ষক দলের সদস্য। তালিকায় আরেকজনের নাম রয়েছে, সে হল মনু মানেসর। বাজরং দলের সদস্য এবং হরিয়ানা সরকারের গো-রক্ষক টাস্ক ফোর্সের সদস্য। গত সোমবার রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে, আরো ৮ জনের খোঁজ চলছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানা পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছিল। ফিরোজপুর ঝিরকা থানায় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। মানে নাসির এবং জুনাইদের অপহরণের কয়েক ঘণ্টা আগে। তা-ও আবার হরিয়ানার গোহত্যা বিরোধী আইনে। সেই এফআইআরে লেখা ছিল, একটি পুলিশ টিম নুহ জেলার আগোন গ্রামে মোতায়েন রয়েছে। গুপ্তচর এবং গোরক্ষক দলের রিঙ্কু জানিয়েছে, পাঁচজন গরুর গোশত পাচারে যুক্ত, তারা রাজস্থান থেকে একটি পিক-আপ ভ্যানে আসছে। তাদের ধরা যেতে পারে।
এরপর এফআইআর অনুযায়ী, ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে রিঙ্কুর সঙ্কেত পেয়ে পিক-ভ্যানটিকে আটকানো হয়। পুলিশ দেখে গাড়িটি পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ট্রাফিকের কারণে সম্ভব হয়নি। চালক এবং বাকি চারজন গাড়ির জানালা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। সেই পাঁচজনকে শনাক্ত করেছিল রিঙ্কুই।
জুনাইদ এবং নাসিরের খুনের পর এ ফিরোজপুর ঝিরকা থানা কাঠগড়ায় উঠেছে। রিঙ্কু রাজস্থান পুলিশকে জানিয়েছে, গো-রক্ষক ওই দুজনকে তুলে নিয়ে যায় থানায় গরুর গোশত পাচারের সন্দেহে। হরিয়ানা পুলিশ সেই অভিযোগের তদন্ত করছিল।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি, ফিরোজপুর ঝিরকা থানায় আরো একটি এফআইআর দায়ের হয়। তাতে এসআই বলবীর সিং রিঙ্কুকে মুখবীর খাস অর্থাৎ খোঁচড় এবং গোরক্ষক দলের সদস্য হিসাবে বর্ণনা করেন। খেরা গ্রামের কাছে রিঙ্কুর টিপ পেয়ে অভিযান চালিয়ে পাঁচজন গরু পাচারকারীকে ধরতে যায়। একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত ২০২১ সালে হরিয়ানা সরকার গো-রক্ষক টাস্কফোর্স তৈরি করে। তাতে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে গো-রক্ষক দলের সদস্যরা রয়েছেন। কিন্তু রাজস্থানের দুই মুসলিম যুবকের মৃত্যুর পর গো-রক্ষক দল কাঠগড়ায় উঠেছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রথম প্রকাশিত হয়, মনু মানেসর ওরফে মোহিত যাদবের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহ আগেই খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু পুলিশ সেটাকে এফআইআর হিসাবে দায়ের করেনি। কারণ হিসাবে দেখানো হয়, আক্রান্ত আঘাতের চোটে মারা যায়।
ফিরোজপুর ঝিরকার ডিএসপি সতীশ কুমার বলেছেন, রিঙ্কু, লোকেশ এবং শ্রীকান্ত সন্দেহজনক গরু পাচারের খবর দিয়ে থাকে। গোরক্ষক দলের সদস্য তারা। কিন্তু পুলিশকে খবর দেওয়াই তাদের কাজ। কখনও কখনও পুলিশের সঙ্গে তারা যায় সাক্ষী হিসাবে। সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।