গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম এমপি বলেছেন, ‘আমরাই সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র জাতি- যারা মাতৃভাষার মর্যাদার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে। আমাদের মাতৃভূমির সাহসী সন্তানেরা সেই বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।’
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘শহীদ দিবস’ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম আরো বলেন, ‘১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টির পর প্রথম আঘাত আসে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার ওপর। যদিও আমরা, বাঙালি জনগণ তৎকালীন পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশেরও বেশি ছিলাম, কিন্তু পাকিস্তান সরকার নির্লজ্জভাবে আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল এবং তৎকালীন পাকিস্তানের মাত্র ৪ শতাংশ জনগণের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছিল। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন এই অন্যায় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন।’
তিনি বলেন,‘১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাব অনুযায়ী ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তারা ধর্মঘটের ডাক দেয় এবং সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। ভাষার সংগ্রাম বাঙালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলনেও গতি ও শক্তি যুগিয়েছে। ভাষা আন্দোলনের বিজয় বাঙালিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল।
ভাষা আন্দোলনের চেতনার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন,আমাদের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং বহুভাষিকতার প্রচারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা বাংলাদেশের অবদানেরই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে আন্তর্জাতিকীকরণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার ফলে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে । বিশ্বের সকল ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ইউনেস্কোর সকল সদস্য রাষ্ট্রে আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা ও প্রসারে শেখ হাসিনার সরকার সবকিছু করছেন। ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে একটি ভাষা জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকবৃন্দ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।