Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গরুর গোস্ত খাই, বিজেপিও করি, অসুবিধা কিসের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির মধ্যে আবার গরু গোস্ত বিতর্ক শুরু হয়েছে। মেঘালয় বিজেপির সভাপতি আর্নেন্ট মাওরি বলেছেন, ‘আমি গুরুর গোস্ত খাই এবং আমি বিজেপিতে আছি। এতে কোনো সমস্যা নেই।’ শুধু তাই নয়, সোমবার ইন্ডিয়া টুডে-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে আর্নেস্টের দাবি, বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোনো গির্জার উপর কোনো আক্রমণ হয়নি এবং পদ্ম-শিবিরে গরু গোস্ত খাওয়ার উপর কোনো বিধিনিষেধ নেই। তার কথায়, ‘বিজেপিতে জাতপাত, ধর্ম, খাদ্যাভ্যাসের রাজনীতি হয় না।’ সংঘ পরিবারের ‘ঘোষিত অবস্থান’ থেকে সরে এসে মেঘালয় বিজেপি সভাপতির এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে ওই রাজ্যে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে বিধানসভার নির্বাচন। তার উত্তর-পূর্ব ভারতের খ্রিস্টান গরিষ্ঠ ওই রাজ্যের ভোটদাতাদের পাশে পেতেই আর্নেস্টের এমন মন্তব্য বলে ভোট পণ্ডিতদের একাংশের ধারণা। কারণ, মেঘালয়ের একটা বড় অংশের মানুষ, যারা গুরুর গোস্ত খান, তারা বিজেপি-র গরু গোস্ত নিষিদ্ধ রীতির সাথে ভালোভাবেই পরিচিত। আর্নেস্টের মন্তব্য ওই ভাবমূর্তি ভাঙার চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে মোদি সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গরু গোস্ত ভোজের আয়োজন করেছিলেন মেঘালয়ের প্রদেশ বিজেপি নেতাদের একাংশ। ওই সময় সে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের অন্দরে প্রবল মতবিরোধ শুরু হয়েছিল। মেঘালয় বিজেপির নেতা তথা তৎকালীন মন্ত্রী শানবর সুল্লাই প্রকাশ্যে গরু গোস্ত খাওয়ার পক্ষে সুপারিশ করায় তাকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ