Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধনীদের কর বাড়াও, গরিব বাঁচাও : আইএমএফ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

চরম অর্থসংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তান বহুদিন ধরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু দফায় দফায় বৈঠকের পরেও ঋণের শর্ত নিয়ে একমত হতে পারেনি দু’পক্ষ। এর ফলে ঝুলে রয়েছে আইএমএফের ঋণ ছাড়ের বিষয়টি। তাই প্রশ্ন উঠছে, ঠিক কী এমন শর্ত দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি, যা মানতে পারছে না পাকিস্তান সরকার? সম্প্রতি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা জানিয়েছেন, পাকিস্তান সরকারের কাছে তাদের মাত্র দুটি চাওয়া: গরিবদের রক্ষা করো এবং ধনীদের ওপর কর বাড়াও। তিনি বলেন, আমরা চাই, পাকিস্তান এমন পদক্ষেপ নিক, যাতে সে বিপজ্জনক জায়গায় না পৌঁছায়, যেখানে ঋণ পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়ে। গত বছর ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা। এতে তাদের তিন হাজার কোটি ডলারের বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। প্রাণঘাতী সেই দুর্যোগের কথা উল্লেখ করে আইএমএফ প্রধান বলেছেন, তারা চান, পাকিস্তান তার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করুক। জর্জিয়েভা বলেন, আমরা দুটি জিনিসের ওপর জোর দিচ্ছি। প্রথমত, কর সংগ্রহ। যারা সক্ষম, যারা ভালো অর্থ উপার্জন করছেন, সরকারি-বেসরকারি খাত নির্বিশেষে অর্থনীতিতে তাদের অবদান রাখতে হবে। ‘দ্বিতীয়ত, চাপের ন্যায্য বণ্টনের মাধ্যমে ভর্তুকি কেবল এমন লোকদের দিতে হবে, যাদের সেটি সত্যিই প্রয়োজন। ভর্তুকি থেকে ধনীরা উপকৃত হওয়া উচিত নয়। উপকৃত হওয়া উচিত দরিদ্রদের। আমরা চাই, পাকিস্তানের দরিদ্র জনগণ সুরক্ষিত থাক।’ আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দলের ১০ দিনব্যাপী ইসলামাবাদ সফর শেষ হওয়ার পরপরই এসব কথা বললেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। গত ১০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান ছেড়েছেন আইএমএফের প্রতিনিধিরা। তবে এই দফায়ও সমঝোতা করতে ব্যর্থ হয়েছে দু’পক্ষ। এটি সফল হলে ১১০ কোটি ডলার ঋণ পেতো পাকিস্তান, যা তাদের জন্য এই মুহূর্তে খুবই জরুরি। অবশ্য আইএমএফ প্রতিনিধিরা বিদায় নেওয়ার পরে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছিলেন, তাদের সরকার আইএমএফের শর্তে রাজি হয়েছে। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ৬৪ কোটি ৩০ লাখ ডলারের একটি বিল পেশ করেছেন ইসহাক। ওই বিলে ট্যাক্স ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত ছিল। জানা গেছে, নির্ধারিত সব শর্ত পূরণে পাকিস্তানকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আইএমএফ। ডিডডিব্লউ, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ