Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিরাপত্তা পরিষদ হতাশ ইসরাইলি বসতি নিয়ে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের বসতি স্থাপনের কার্যকলাপের বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ ও হতাশা’ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সোমবার এক বিবৃতিতে এই হতাশা প্রকাশ করা হয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল এই বিবৃতিটি যুক্তরাষ্ট্রসহ কাউন্সিলের ১৫ সদস্যের সবাই অনুমোদন করেছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এদিকে ইউএনএসসির ওই বিবৃতিতে ‘সন্ত্রাস পরিত্যাগ এবং মোকাবিলা করার জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বাধ্যবাধকতা’ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। কাউন্সিল বলেছে, ‘ইসরাইলি বসতি স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ফলে ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে নিরাপত্তা পরিষদ।’ চলতি মাসের শুরুর দিকে ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরে হাজার হাজার বসতি স্থাপনের অনুমোদন এবং বেআইনিভাবে নির্মিত সেটেলমেন্ট ফাঁড়িগুলোকে বৈধ করার জন্য ইসরাইলি সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের প্রতীকী এই পদক্ষেপটি সামনে এলো। জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে, (ইসরাইলের) অবৈধ, একতরফা পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদের শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ একটি বার্তা সামনে এসেছে।’ এর আগে গত সপ্তাহে ইসরাইলের বসতি সম্প্রসারণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বেশ কয়েকটি মার্কিন ও ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের প্রতিশ্রুতিসহ মার্কিন সরকারের চাপের মধ্যে ভোটাভুটি বাদ দিতে সম্মত হয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)। সূত্রগুলো জানিয়েছে, চুক্তির অংশ হিসাবে ইসরাইল সাময়িকভাবে নতুন বসতি স্থাপন এবং ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ধ্বংসের কর্মকাণ্ড স্থগিত করবে। আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ