নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে গতকাল। সেই র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে নিজেকে দেখবেন, তা জানাই ছিল, কিন্তু এই সপ্তাহে ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে নিজেকে দেখার তাৎপর্য অন্য রকম নোভাক জোকোভিচের কাছে। পুরুষ ও নারীদের র্যাঙ্কিং মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি সপ্তাহ শীর্ষে থাকার তালিকায় স্টেফি গ্রাফকে যে ছুঁয়ে ফেলেছেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা। সব মিলিয়ে ৩৭৭ সপ্তাহ র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রইলেন জোকোভিচ। আর এক সপ্তাহ থাকলেই রেকর্ডটি একার করে নেবেন ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। জার্মান কিংবদন্তি স্টেফিও ক্যারিয়ারের ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জিতেছেন। তবে জোকোভিচের এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের সংখ্যা অবশ্য ছেলেদের টেনিসে যৌথভাবে একক সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড। স্প্যানিশ কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালও সমান ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন।
২০১১ সালে প্রথম র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠেন জোকোভিচ। এরপর ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত টানা ১২২ সপ্তাহ র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী এ তারকা। ছেলেদের টেনিসে সবচেয়ে বেশি সপ্তাহ শীর্ষে থাকার রেকর্ডটি রজার ফেদেরারের (৩১০ সপ্তাহ) কাছ থেকে কেড়ে নেন জোকোভিচ। তবে ছেলেদের টেনিসে টানা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকার রেকর্ড অবশ্য সুইস কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের (২৩৭ সপ্তাহ)। গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে আবারও ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে আসেন জোকোভিচ। ৭০৭০ পয়েন্ট নিয়ে তিনি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। দ্বিতীয় স্পেনের কার্লোস আলকারাজের সঙ্গে ৫৯০ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে জোকোভিচ।
টেনিসে ছেলেদের র্যাঙ্কিং শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। এর দুই বছর পর ১৯৭৫ সালে শুরু হয় মেয়েদের র্যাঙ্কিং। স্টেফি গ্রাফ প্রথম মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠেন ১৯৮৭ সালে। এরপর টানা ১৮৬ সপ্তাহ র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছিলেন, যেটি দীর্ঘদিন মেয়েদের টেনিসে সবচেয়ে বেশি সময় শীর্ষে থাকার রেকর্ডও ছিল। ২০১৬ সালে স্টেফির এই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী সেরেনা উইলিয়ামস।
গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারে সপ্তমবারের মতো ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠেন জোকোভিচ। আর স্টেফি গ্রাফ ১৯৯৯ সালে মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে থাকতে অবসর নেন। ৫৩ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে তার ৩৭৭তম সপ্তাহটি কাটিয়েছিলেন ১৯৯৭ সালের মার্চে। গত ২৬ বছরে ছেলে ও মেয়েদের টেনিস মিলিয়ে আর কেউ স্টেফির এই রেকর্ডের ধারেকাছে আসতে পারেনি। জোকোভিচ এবার শুধু স্টেফির সেই রেকর্ড ছুঁয়েই ফেললেন না, ফর্ম ধরে রাখতে পারলে ৪০০ সপ্তাহ র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকার কীর্তিও গড়তে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।