মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর কোরিয়া একটি দীর্ঘ পাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া রবিবার যৌথ বিমান মহড়া চালায় যাতে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বোমারু বিমান অংশ নেয়। এই ঘটনার পর সোমবার ফের ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পশ্চিম উপকূলে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী থেকে উত্তরে অবস্থিত এলাকা থেকে সোমবার দুটি মিসাইল ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। সিউল পিয়ংইয়ংয়ের এই ঘটনাকে ‘উসকানি’ অভিহিত করে কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মাল্টিপল রকেট লঞ্চার দিয়ে দুইটি প্রজেক্টাইল ছোড়া হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে এগুলো ৩৯৫ কিলোমিটার এবং ৩৩৭ কিলোমিটার দূরের জিনিস লক্ষ্যবস্তু করে। কেসিএনএর খবরে বলা হয়,‘ ট্যাক্টিক্যাল নিউক্লিয়ার উইপন বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুর বিমানঘাঁটি পঙ্গু করতে সক্ষম।’ জাপানও এই ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তের কথা জানিয়েছে। টোকিও বলেছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৭ টার দিকে দুইটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। এই ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের বাইরে পড়ার আগে যথাক্রমে ১০০ কিলোমিটার ও ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায় এবং ৩৫০ কিলোমিটার ও ৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব পরিভ্রমণ করে। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রে বিমান কিংবা কোনো জাহাজের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। জাপান বলেছে, বারবার উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ তাদের অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া এই উৎক্ষেপণের কথা স্বীকার করে এটিকে ‘অতি-বৃহৎ একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ অনুশীলন’ বলে অভিহিত করেছে। ‘কৌশলগত পারমাণবিক হামলার ক্ষেত্রে’ এগুলো সাহায্য করবে বলে দাবি করেছে তারা। আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ বিমান মহড়ার জবাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কোনো সামরিক মহড়া চালানো হলে ‘নজিরবিহীন শক্তিশালী জবাব’ দেওয়া হবে, শুক্রবার উত্তর কোরিয়া এমন হুমকি দেওয়ার পর রোববার দুই দেশ মিলে যৌথ বিমান অনুশীলন পরিচালনা করে। কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন বিমান বাহিনীর বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়েছে এবং এগুলোকে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন বিমান বাহিনীর এফ-৩৫এ, এফ-১৫কে এবং এফ-১৬ জঙ্গি বিমানগুলো পাহারা দিচ্ছে বলে মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, কোরীয় পিপলস আর্মি (কেপিএ) দুটি ৬০০ মিলিমিটার রেডিয়াল কামান জড়ো করে সেগুলো থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ৬০০ মিলিমিটারের চেয়ে বড় মাল্টি-রকেট লঞ্চারকে দক্ষিণ কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে বিবেচনা করে, জানিয়েছে সিএনএন। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ৬টা ৫৯ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয় এবং সেটি সর্বোচ্চ প্রায় ১০০ কিলোমিটার উপর দিয়ে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে সাগরে পড়ে। দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৭টা ১০ মিনিটে ছোঁড়া হয় এবং সেটি সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার উঁচু দিয়ে উড়ে গিয়ে সাগরে পড়ে। জাপানের কোস্টগার্ড তাদের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রথমে জানায়, উত্তর কোরিয়া সম্ভবত দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। পরে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানায়, তারা শুধু দুটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক হুমকি প্রতিরোধে সহায়তার লক্ষ্যে মার্চে ওয়াশিংটন ও সিউলের যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর কথা রয়েছে, তার আগেই এসব পরীক্ষা চালালো পিয়ংইয়ং। এ ধরনের কোনো মহড়া চালালে তার ‘নজিরবিহীন শক্ত’ প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে বলে হুমকি দিয়েছে পিয়ংইয়ং। তাদের অভিযোগ, উত্তর কোরিয়ায় আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিতেই এ ধরনের মহড়াগুলোর আয়োজন করা হয়। রোববার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো-জং এক বিবৃতিতে বলেছেন, যে কোনো শত্রুতামূলক পদক্ষেপের ‘শক্তিশালী ও অপ্রতিরোধ্য’ জবাব দেওয়া হবে। তিনি উত্তর কোরিয়াকে হুমকি দেওয়া বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি এক সামরিক প্যারেডে এক ডজনেরও বেশি আইসিবিএমসহ ব্যাপক সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়া। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।