নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মার্চের ফিফা উইন্ডোতে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় এ টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও সিশেলস ও ব্রুনাই খেলবে এই ত্রিদেশী টুর্নামেন্টে। আগামী ২০ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ফিফা উইন্ডো। এই সময়ের মধ্যে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের তিনটি ম্যাচ ডে রাখা হয়েছে। প্রতিটি ম্যাচই ফিফার টায়ার-১ স্বীকৃতি পাবে। ২২, ২৫ ও ২৮ মার্চ এ তিন ম্যাচ ডে’তে মোট ছয়টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। তিন দলই দু’টি করে ম্যাচ খেলবে পরস্পরের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টে কোনো ফাইনাল ম্যাচ থাকছে না। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল পাবে চ্যাম্পিয়নের খেতাব।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জাতীয় দলের প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই করতে চাইছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রস্তুতি ক্যাম্প দেশের বাইরে করার পরিকল্পনা তাদের। এক্ষেত্রে জামাল ভূঁইয়াদের প্রস্তুতি ক্যাম্প সউদী আরবে হতে পারে! সেখানে শুধু অনুশীলনই নয়, দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ। গতকাল তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা চাইছিলেন সম্ভব হলে দেশের বাইরে প্রস্তুতি ক্যাম্প করতে। জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ এমপি’রও একই মত। এ ব্যাপারে আমরা শুরুতে কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু ওখানে তাদের ব্যস্ত সূচির কারণে ক্যাম্প করা সম্ভব নয়। পরে সউদী আরবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। হয়তো সেখানে ইতিবাচক কিছু হতে পারে।’
পরে ফুটবলের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এদিন বিকালেই মতিঝিলের বাফুফে ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনও। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি চাই এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হোক।’ বিদেশে জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প নিয়ে সালাউদ্দিনের কথা, ‘কাতারে আবাসন নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। বিশ্বকাপের পর নানা কারণে তারা ব্যস্ত রয়েছে। সউদী আরবের সঙ্গে আমাদের কথা চলছে। সউদীতে একটি অনুশীলন ক্যাম্প হবার সম্ভাবনা বেড়েছে।’
এদিকে জাতীয় দলের ফুটবলারদের ৬০ ভাগকেই আনফিট মনে হয় সালাউদ্দিনের কাছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের ঘাটতিতে খেলোয়াড়দের ফিটনেসকে বড় কারণ হিসেবেই দেখছেন তিনি। সালাউদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে অনেক সময় মনে হয় আমাদের জাতীয় দলের ৬০ ভাগ খেলোয়াড় ফিট নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার জন্য।’ তাহলে এই খেলোয়াড়দের কোচ কেন ডাকেন? এমন প্রশ্নে বাফুফে সভাপতির উত্তর, ‘কোচের দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক খেলোয়াড়দেরই ক্যাম্পে ডাকেন। ঘরোয়া পর্যায়ে যারা ভালো পারফরম্যান্স করেন তারাই জাতীয় দলে ডাক পান। ঘরোয়া লিগের ফিটনেসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ফিটনেসের যথেষ্ট তারতম্য রয়েছে।’
ঘরোয়া পর্যায়ে খেলোয়াড়দের ফিটনেস আন্তর্জাতিক মানের না হওয়ার পেছনে ক্লাব ব্যবস্থাকে দায়ী করেন সালাউদ্দিন, ‘একেক ক্লাব একেকভাবে খেলোয়াড়দের তৈরি করে। বসুন্ধরা কিংস ভালো করছে। তাদের পেছনে রয়েছে ঢাকা আবাহনী।’ লিগে বসুন্ধরা কিংস টানা চতুর্থ শিরোপা জয়ের পথে রয়েছে। ঘরোয়া ফুটবলে বসুন্ধরার একক আধিপত্যের মধ্যেও এবারের মৌসুমে তাদের মান নিম্নগামী বলে মনে করেন বাফুফে সভাপতি, ‘আমি সম্প্রতি কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তার খেলোয়াড়দের মানও বর্তমানে নিচের দিকে। ইমরুল আমার কথায় একমত পোষণ করেছেন এবং তার কোচকে (অস্কার ব্রুজেন) এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।’
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে একমাত্র ব্রুনাই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আছে। তাদের অবস্থান ১৯০। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশ (১৯২)। সবার শেষে রয়েছে ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপ দেশ সিশেলস। তাদের অবস্থান ১৯৯তম স্থানে। স্বাগতিকরা চাইছে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট জিতে র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের উন্নতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।