মো. হেলাল উদ্দিন, নিকলী (কিশোরগঞ্জ) থেকে : আসন্ন ২০১৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পূর্বেই নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই বেশি হচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে জাতীয় নেতৃবৃন্দের ছবি দিয়ে বিলবোর্ড ও শুভেচ্ছা পোস্টারে ভরে উঠেছে রাস্তার অলিগলি ও গ্রামের হাটবাজার। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য সময় ঘোষণার পর থেকে নিকলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নব্যাপী জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। বিভিন্ন ইউনিয়নের জনসাধারণের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, অন্য বছরের তুলনায় এবার তরুণ, শিক্ষিত প্রার্থীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। সবগুলো ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যে অনেকটাই দৃশ্যমান। তারা সকলেই এখন জুম্মার নামাজ, বিয়ে ও গানের আসরসহ সামাজিক বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক কর্মকা-ের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নেতৃস্থানীয় পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষের সাথে আলোচনা করে ৭টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম উঠে এসেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এবার বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে এই উপজেলায় জাতীয়পার্টি ও জামাতসহ অন্যান্য কোন দলের প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি। মনোনয়ন প্রত্যাশী বা স¦তন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- নিকলী সদর ইউনিয়য়নে বর্তমান চেয়ারম্যান (আ’লীগ) কারার বুরহান উদ্দিন আহম্মেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মীর সিরাজুল হক ভূইয়া, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খুর্শেদ আলম (স¦াধীন), আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শহীদুল্লাহ (খোকন), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাউছারুল আলম, যুবলীগ নেতা আল আমীন ও স¦তন্ত্র প্রার্থী আছমত আলী। বিএনপির সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল ইসলাম তালুকদার (হেলিম), উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সার্জেন্ট (অব.) আলহাজ মো. হারুন অল কাইয়ুম, বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন মুহি, বিএনপি নেতা কারার ইফতেখার আহমেদ আরিফ। কারপাশা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বী সবুজ (স¦তন্ত্র), ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারিক, আওয়ামী লীগ নেতা মির্জালী, আওয়ালী লীগ কর্মী নূরুল ইসলাম বাবু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. কাদির বকুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এএম রুহুল কুদ্দুস ভূঞা (জনি), আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল হক খান পলাশ, ছাত্রলীগ নেতা ত্বাকি আমান খান (আমান), যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল হাসান বাবুল, বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি মো. মফিজ উদ্দিন, সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বী, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন। দামপাড়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ মাহবুবুর রহমান (আওয়ামী লীগ), ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আকবর, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের, স¦তন্ত্র প্রার্থী মোকাররম হোসেন (কন্ট্রাক্টর), বিএনপির ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজু (ঠিকাদার), সাবেক ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম। সিংপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন চাঁন মিয়া, বিএনপির উপজেলা সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তার উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা আ. রব মেনু, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুন অর রশিদ। জারইতলা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রইছ উদ্দিন (বিএনপি), সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন বাতেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন আফরোজ, আওয়ামী লীগ নেতা মানিক মিয়া, বিএনপির মো. শামছুজ্জামান সরকার, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলম মেম্বার, বিএনপি নেতা আতিয়ার রহমান লিটন। ছাতিরচর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ ইসলাম (বিএনপি), সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাতিরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অ্যাডভোকেট বদরুল আমিন চৌধুরী (মানিক ভাই), ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ আলম, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার পরশ মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন ও রবিউল আলম। গুরই ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুল হক (আওয়ামী লীগ), ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী মো. আকবর আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আ. হামিদ, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রহমান গোলাপ, আওয়ামী লীগ নেতা অহিকুল ইসলাম বকুল, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আবু তাহের, বিএনপি নেতা আ. সাত্তার সাগর ও বিএনপি নেতা তাহের উদ্দিন।