মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুগটা প্রযুক্তির। অন্য সব ক্ষেত্রের মতো প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়েছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে উপগ্রহ বা ড্রোনের সাহায্যেই চালানো হয় নজরকারি। কিন্তু গত সপ্তাহ তিনেক ধরে চীন, রাশিয়া কিংবা আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশগুলি নিজেদের মধ্যে তর্কে জড়িয়েছে বেলুনকে কেন্দ্র করে! যা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে প্রশ্ন। কেন প্রযুক্তির এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র, চীনের মতো দেশগুলি বেলুনের সাহায্যে নজরদারি চালাতে চাইছে?
এর কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে প্রথমেই যে দিকটি উঠে আসবে তা হল এর উচ্চতা। সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে বেলুনকে যুদ্ধের সময় ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। আসলে মাটি থেকে ২৪ হাজার থেকে ৩৭ হাজার মিটার উচ্চতায় ওড়ানো যায় বেলুনকে। অত উঁচুতে থাকায় চট করে সেটার দিকে নজর পড়া বেশ কঠিন। ফলে নির্বিঘ্নে গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে গেলে বেলুন নিঃসন্দেহে একটা খুব ভাল ‘চয়েস’ আজও।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই মার্কিন সেনা এ ধরনের অনেক উঁচু দিয়ে ওড়া বেলুনের ব্যবহার শুরু করে। ‘প্রোজেক্ট জেনেটিক্স’ নামে পরিচিত ছিল সেই নজরদারি। ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ে রাশিয়ার উপরে নজর রাখতে বেলুনেই ভরসা করত সেযুগের মার্কিন প্রশাসন। এছাড়াও খরচও একটা বড় ব্যাপার। একটা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা, সেটার দেখভাল করা প্রভূত ব্যয়সাধ্য। সেদিক থেকে দেখলে বেলুন অনেক সস্তা। এর নির্মাণ খরচ যেমন অল্প, তেমনই একে নিয়ন্ত্রণ করতেও বিশেষ খরচ নেই।
আর ড্রোনের বিষয়ে বলা যায়, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এর গুরুত্ব যতই বাড়ুক মাটি থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ হাজার মিটারের বেশি উঁচুতে একে ওড়ানো যায় না। অন্যদিকে বেলুনকে সর্বোচ্চ ৩৭ মিটার উচ্চতায় ওড়ানো যায়। তাই অন্য সব দিক দিয়ে যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক, বেলুন কিন্তু এই দিকগুলিতে দশ গোল দিচ্ছে উপগ্রহ ও ড্রোনকে। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।