শুরুর ধারাবাহিকতার লীগে পর হঠাৎই ছন্দপতন ঘটেছিল আর্সেনালের। সর্বশেষ গত ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে বড় ব্যবধানে হেরে দীর্ঘ সময় পর হারিয়েছিল লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান।
আজও এস্টন ভিলার বিপক্ষে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় ছিল গানার্সরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে শেষে খেলা ছিল ২-২ সমতায়। তবে অতিরিক্ত সময়ের দুইবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে ৪-২ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে মীকেল আর্তেতার দল। তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল আর্সেনাল।
ভিলা পার্কে শনিবার এস্টন ভিলার বিপক্ষে দুইবার পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল। এস্টন ভিলার দুই গোলদাতা আর্থার ওয়াটকিন্স ও ফিলিপে কোতিনহো। আর্সেনালের হয়ে একটি করে গোল করেন বুকায়ো সাকা আলেকসান্দার জিনচেঙ্কোর,মার্টিনেল্লি। অন্যটি আসে ভিলা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ আত্মঘাতী ভুলে। মূলত তার ভুলেই শেষ দুটি গোল হজম করে এস্টন ভিলা।
সিটি হেরে কাছে মাঠে নামা গার্নাসদের এদিন শুরু থেকেই চেপে ধরে এস্টন ভিলা।ঘরের মাঠে এগিয়ে যেতে দলটি এগিয়ে যেতে সময় নেয় মাত্র পাঁচ মিনিট।ম্যাথু স্টুয়ার্ট ক্যাসের বাড়ানো নিখুঁত ক্রস কোনরকম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জালে পাঠান দলটির তারকা ফরোয়ার্ড ওয়াটকিন্স।আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া আর্সেনাল সমতায় ফেরে ১৬ তম মিনিটে।বুকায়ো শাকার গোলে স্কোরশিট ১-১ হয়।
এর ১৫ মিনিট পর গানারদের ফের পিছিয়ে দেন ভিলার ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কৌতিনিয়ো। বাঁ প্রান্ত থেকে সতীর্থের বাড়ানো পাস এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া আলতো ছোঁয়ায় পাঠান কৌতিনিয়োর কাছে। ডি-বক্সে বল পেয়ে নিচু শটে দলকে লিড এনে দেন কৌতিনিয়ো।
লড়াইয়ে ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে আর্সেনাল। অনেক চেষ্টার পর ৬১ মিনিটে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। মার্টিন ওডেগারের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকেই জোরালো শট নেন জিনচেনকো। তার বুলেট গতির শট ফেরাতে ব্যর্থ হন মার্টিনেজ।
৮২ মিনিটে গোল হজম থেকে বেঁচে যায় আর্সেনাল। লেয়ন বেইলির শট গোলরক্ষকের গ্লাভস ছুঁয়ে পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে মার্টিনেজে ওই আত্মঘাতী গোলে ঘুরে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। এরপর শেষের বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে মার্টিনেল্লি দলের জয় নিশ্চিত করেন।