মশুরীখোলা দরবার শরীফের গদ্দিনিশীন পীরে তরীকত আলহাজ মাওলানা শাহ মুহাম্মাদ আহসানুজ্জামান বলেছেন, নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শ বিবর্জিত পাঠ্যপুস্তক কোন ভাবেই মেনে নেয়া হবে না। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য জাতিকে নীতিÑনৈতিকতা বোধ সম্পন্ন করা। কিন্তু বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও পাঠ্য পুস্তক জাতিকে অন্ধকার এবং বর্বরতার দিকে ধাবিত করবে। সরকারের ঘাড়ে চেপে বসা একটি মহল নাস্তিক্যবাদের বীজবপন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রগতিশীলতার নামে তারা নাস্তিক্যবাদের প্রতি অতিউৎসাহী। যার প্রতিফলন ঘটেছে ২০২৩ সালে পাঠ্য-পুস্তকে। পাঠ্য পুস্তকে শুধু বিবর্তনবাদই নয় আরো নানা অসংঘতিতে পরিপূর্ণ। শিক্ষা সিলেবাসের আমূল সংস্কার প্রয়োজন। এদেশের ৯১% মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাস সংস্কৃতিকে উপেক্ষা কোন ভাবেই মেনে নেয়া হবে না। ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা সকল স্তরে বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশে ইসলাম প্রচার প্রসার হয়েছে হক্কানি তরীকতের পীর ওলিদের মাধ্যমে। সুতরাং বর্তমান চতুরমুখী ফিৎনা ও মুসলিম সমাজ দ্বীনের প্রতি উদাসীনতার পরিস্থিতিতে আউলিয়াগণের আদর্শ অনুসরণ করাই ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তির একমাত্র উপায়”।
সম্প্রতি ঢাকা ঐতিহ্যবাহী নারিন্দা মশুরীখোলা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শাহ আহসানুল্লাহ (রহ.) এর প্রতিষ্ঠিত ১৫৩তম ওরস মোবারক উপলক্ষে বার্ষিক মাহফিলে মাওলানা শাহ মুহাম্মাদ আহসানুজ্জামান সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মাওলানা এম.এ.কুদ্দুসের সঞ্চালনায় মাহফিলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ভিত্তীক আলোচনা করেন, কাদরিয়া তৈয়বিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, দারুল উলূম আহসানিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতি কাজি আবু জাফর মো. হেলাল উদ্দিন, অধ্যাপক আল্লামা আবুল বাশার, চট্টগ্রাম বেতাগী আস্তানা শরীফের সাজ্জাদানশিন পীরে তরীকত মাওলানা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, মশুরীখোলা শাহ সাহেব বাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি মঈন উদ্দিন হেলাল, হবিগঞ্জ ঘরগাঁও দরবার শরীফের পীর সাহেব মাওলানা মুর্শিদ কামাল,বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ-মাওলানা তাওহীদুল ইসলাম,ফরিদপুর কামারডাঙ্গী আব্দুল ওয়াহেদ জামেয়া খানকা শরীফের সাজ্জাদানশিন মাওলানা আহমদুল হুদা খান, বেতাগী আস্তানা শরীফের সাহেবজাদা-মাওলানা জিয়াউর রহমান আবু শাহ।