বিশ্বের বিশ দেশের অর্থনৈতিক জোট জি২০’র সদস্য দেশগুলোর জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে ভারত।
করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির শিকার ঋণগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তা করতে ঋণে কাটছাঁটের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম সার্বভৌম ঋণদাতা চীনসহ অন্য ঋণদাতাদের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে ভারত। খবর রয়টার্সের।
ভারতের সরকারি দুটি সূত্র রয়টার্সকে এই প্রস্তাবের কথা জানিয়েছে। আগামী সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে জি২০’র সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জি-২০’র সভাপতি হিসেবে ভারতের এক বছরের সভাপতিত্বের প্রথম বড় ইভেন্ট হবে এই বৈঠক।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মঙ্গলবার বলেছে, তারা বিশ্বব্যাংক, ভারত, চীন, সৌদি আরব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং গ্রুপ অব সেভেন (জি৭) গণতন্ত্রের সঙ্গে শুক্রবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবে কীভাবে দুর্দশাগ্রস্ত দেশের ঋণ পুনর্গঠন করা যায়, তার জন্য মান, নীতি এবং সংজ্ঞা সেসব বিষয় নিয়ে।
ভারতের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভারত একটি প্রস্তাব তৈরি করছে। যাতে চীনের মতো দেশগুলোকে সমস্যায় থাকা দেশগুলোকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের কাটছাঁট করাতে রাজি করানোর চেষ্টা করা হবে।
তবে তথ্য দেওয়া ভারতের এই দুই কর্মকর্তা তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি, জানিয়েছেন এসব বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলার অনুমোদন তাদের নেই। কর্মকর্তারা বলেছেন, চীন এবং জি২০’র অন্য সদস্য দেশ সচেতন ছিল যে ভারত একটি প্রস্তাবের ওপর কাজ করছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার রয়টার্সকে বলেছে, মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে করা মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিনের মন্তব্যের বাইরে এ বিষয়ে তাদের আর বলার কিছু নেই।
তিনি বলেন, চীন উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণের সমস্যাটিকে গুরুত্ব সহকারে নেয় এবং সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করে।
তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান যে বহুপক্ষীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্যিক ঋণদাতা, যারা উন্নয়নশীল দেশের ঋণের সিংহভাগ ধারণ করে, তাদের ঋণ ত্রাণ প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা উচিত।
এ বিষয়ে পিপলস ব্যাংক অব চায়না এবং অর্থ মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি বলেও জানিয়েছে রয়টার্স। ভারতের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য চেয়ে ইমেইল এবং বার্তা পাঠালে তারাও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, নয়াদিল্লি আশা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার প্রস্তাবের অন্যতম প্রধান সমর্থক হবে। যদিও মার্কিন ট্রেজারির একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।