গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
গরীবের পুষ্টি যোগায় ফার্মের মুরগি ও ডিম। তবে সেই ডিম ও মুরগিও তাদের হাতের নাগালে বাইরে চলে যাচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডিম ও মুরগির দাম। প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ টাকা, এক মাসের ব্যবধানে হালিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। আর এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির জন্য কেজিতে ১০০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বেড়েছে, অনেক ছোট খামারি খামার বন্ধ করে দিয়েছে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন ফরহাদ উজ্জামান।
শনিবার তেজগাঁও ও কারওয়ানবাজার ডিম ও মুরগির বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
বিভিন্ন ক্রেতারা জানান, কম খরচে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের বড় মাধ্যম ব্রয়লার মুরগি ও ডিম। তবে তাও এখন সামর্থ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।
কারওয়ানবাজারে ডিম কিনতে আসা অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগে বাজারে এলে ৬০টি ডিম কিনতাম। এখন ৩০টি কিনতেই কষ্ট হয়। এমন ও হয় আগে একজন দুইটা ডিম ও খাওয়া হতো। আর এখন ২ টা ডিম ভাজি করে সবাই মিলে খেতে হয়।
তেজগাঁও পাইকারী ডিমের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, মাদ খামেক আগেও ডিমের দাম কম ছিল। এখন বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। পাইকারি ১০০’শ ডিম বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৭০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০ টাকায়।
খুচরা দোকান ও মহল্লার দোকানে এক হালি ডিম হালি কিনতে লাগে ৫০ টাকা। গত মাসেও ডিমের হালি ছিল ৪০ টাকা। বাজারে মুরগীর দাম বাড়ায় ছোট ছোট অনেক খামারি ডিমপাড়া মুরগী বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে ডিমের উৎপাদন কমে গেছে বলে দাবি পাইকারি ব্যবসায়ীদের।
তেজগাঁও এর আরেক পাইকারী ডিম বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, মুরগির খাবারের দাম বস্তা প্রতি অস্বাভাবিক হারে বাড়ার ডিম ও মুরগির দাম বাড়ছে। ডিমের দাম ১০ টাকা বাড়লে মুরগির খাবারের দাম বাড়ানো হয় প্রতি বস্তায় ১০০ টাকা। খাদ্যের দামে লাগাম টানা না গেলে দাম বাড়তেই থাকবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে কারওয়ানবাজারের মুরগি বিক্রেতা আমজাদ হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২১০ টাকা থেকে ২২০ টাকা কেজি। এক মাস আগে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হতো ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা থেকে ২৪০ টাকায়।
তিনি আরও বলেন, দাম বাড়ায় ক্রেতারা এসেও আগের মতো মুরগি নিতে চায় না। অনেকেই দাম শুনেই চলে যায়।
হঠাৎ করেই মুরগির দাম কেন এতো বাড়লো জানতে চাইলে মুরগি বিক্রেতা তাকের হোসেন জানান, গত বছরে এই বছরের শুরুতে খামারিরা অনেক লোকসান করেছে। তবে সবচেয়ে বড় কারণ মুরগির খাবারের দাম বেড়ে। কয়েক মাসের ব্যবধানে বস্তা প্রতি মুরগির খাবারের দাম কয়েলগুণ বেড়েছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিকদের বেতন বাড়ায় খরচ বেড়েছে তাদের। তাই মুরগি ও ডিমের দাম ও বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের একটি সুত্র জানায়, আগে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিত তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। তবে এখন তাদের কোন সমিতি নেই। খামার ও উৎপাদনকারীদের থেকে যেমন দামে আনা হয় সেভাবেই বিক্রি করা হয়।
তবে এমন দাম বৃদ্ধি নিয়ে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাও খাবারের খরচে কাটছাট করছে বলে জানিয়েছে ভোক্তারা। ডিম ও মুরগির উৎপাদন বাড়ানোর জন্য খামারিদের উৎসাহ দেয়ার দাবি জানান ব্যবসাীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।