Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবাহনীকে হারিয়ে দশে ১০ বসুন্ধরার

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০২ এএম

ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে দশ ম্যাচের ১০টিতেই জয় তুলে নিলো হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। এ জয়ে টানা চতুর্থ শিরোপা জেতার পথে আরও এগিয়ে গেল তারা । গতকাল বিকালে কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে লিগের দশম রাউন্ডের উদ্বোধনী ম্যাচে বসুন্ধরা ২-১ গোলে হারায় আবাহনীকে। বিজয়ী দলের হয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মিগুয়েল ফেরেইরা জোড়া গোল করেন। আবাহনীর হয়ে এক গোল শোধ দেন স্থানীয় ডিফেন্ডার রেজাউল করিম।
লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচ। শিরোপা প্রত্যাশি দুই দলের মৌসুমের প্রথম দেখা। যে ম্যাচটি পরিচালনা করেন ভুটানের রেফারি পেমা টিসেওয়াং। আর সহকারী রেফারি হিসেবে ছিলেন পোপা ওয়াংছুক এবং পেসাংগ ও ভিরেন্দ্র রায়। সব মিলিয়ে স্মরণীয় করে রাখার মতোই এক ম্যাচ। দু’দলের মর্যাদার লড়াইও বলা চলে। যে কারণে ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়েছে বসুন্ধরা ও আবাহনী। তবে এ ম্যাচে ছিল হলুদ কার্ডের ছড়াছড়ি। শুরুর ১৭ মিনিটের মধ্যেই দু’টি হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে দু’দলের ফুটবলারদের। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দু’টি।
কাল ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল কিংসরা। এসময় ডানপ্রান্ত থেকে সতীর্থের পাসে আবাহনী বক্সে বল পেয়ে শট নিতে গিয়েছিলেন রাকিব। কিন্তু বল ক্লিয়ার করেন আলমগীর। ১০ মিনিটে বক্সের প্রায় দশ গজ দূরে ফ্রি কিক পায় বসুন্ধরা। ব্রাজিলিয়ান তারকা রবসন রবিনহোর স্পট কিক চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। ১৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের ডান পায়ের ফ্রি কিক দারুণ দক্ষতায় ফেরান বসুন্ধরার গোলরক্ষক জিকো। কর্ণার পায় আবাহনী। বাঁ প্রান্ত থেকে কলিন্দ্রেসের কর্ণার বক্সে ক্লিয়ার করে কিংস ডিফেন্ডাররা।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে আচমকা এক গোলে আবাহনীকে চমকে দেয় বসুন্ধরা। এসময় বাঁ প্রান্ত থেকে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে রবিনহোর পাস বক্সে পেয়ে বাম পায়ের শটে গোল করেন মিগুয়েল (১-০)। আচমকা পিছিয়ে পড়লেও এগারো মিনিট পরই সমতায় ফেরে ঢাকা আবাহনী। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে কলিন্দ্রেস কর্ণার শট নিলে বক্সে জটলার মধ্যে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন আবাহনীর ডিফেন্ডার রেজাউল করিম (১-১)। সমতা নিয়ে দু’দল বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে আরও এক গোল পায় বসুন্ধরা। এই অর্ধে দু’দল একাধিক গোলের সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগিয়েছে বিজয়ীরাই। ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচের ৭১ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় বসুন্ধরা। এসময় কিংসের একটি আক্রমণ রুখতে ব্যর্থ হন আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা। বল পেয়ে দারুণ শটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন মিগুয়েল (২-১)। শেষ পর্যন্ত তার এই গোলেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। ম্যাচ জিতে দশ খেলার সবগুলোতে জয় পেয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষেই থাকলো বসুন্ধরা কিংস। নয় ম্যাচে পাঁচ জয়, তিন ড্র ও এক হারে ১৮ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা আবাহনী।
এদিন গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে লিগের আরেক ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৩-৩ গোলে ড্র করেছে নবাগত আজমপুর ফুটবল ক্লাব উত্তরার বিপক্ষে। জোড়া গোল করেন জামালের স্টুওয়ার্ট, অন্যটি নওয়াবের। আজমপুরের পক্ষে নিপু, সুলতানবেক মমোনভ ও রোহিত সরকার করেন একটি করে গোল। এবারের লিগে এটি আজপুরের দ্বিতীয় ড্র। এই দুই ম্যাচ ছাড়া আর কোন ম্যাচে পয়েন্ট পায়নি তারা। নয় খেলায় মাত্র ২ পয়েন্ট পেয়ে তালিকায় সবার শেষে আজপুরের নাম। সমান ম্যাচে তিন জয়, চার ড্র ও দুই হারে ১৩ পয়েন্ট পাওয়া শেখ জামালের অবস্থান পাঁচে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ