উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়াং অঞ্চলের গভর্নর এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি এরকিন তুনিয়াজকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। পূর্ব-তুর্কিস্তানের নির্বাসিত সরকার (ইটিজিই) এবং অসংখ্য উইঘুর ভুক্তভোগী যুক্তরাজ্যের পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তাকে গ্রেপ্তার করতে। পূর্ব-তুর্কিস্তান এ প্রতিবেদন করেছে।
তুনিয়াজকে ‘পুতুল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তারা। পূর্ব তুর্কিস্তানিরা বলেছেন, যে যুক্তরাজ্যের ব্যারিস্টার রডনি ডিক্সন কেসি এবং তার আইনি দল মেট্রোপলিটন পুলিশ এসও ১৫ কাউন্টার-টেররিজম ইউনিটের কাছে তাদের পক্ষে অনুরোধপত্রটি জমা দিয়েছেন।
আইনজীবীদের দলটি বলেছে, ‘আমরা নির্বাসনে থাকা পূর্ব তুর্কিস্তান সরকার এবং নির্যাতিত অগণিত উইঘুরের জন্য কাজ করি। আমরা আমাদের মক্কেলদের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) একটি অনুরোধপত্র জমা দিয়েছি; যাতে চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত শুরু করা যায়। আমরা সেটা জমা দেওয়ার সমর্থনে সাক্ষীর বিবৃতি এবং অন্যান্য প্রমাণ অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমাদের অনুরোধটি বর্তমানে আইসিসি প্রসিকিউটর দ্বারা পর্যালোচনা ও বিবেচনা করা হচ্ছে।’ চিঠিটি যুক্তরাজ্য পুলিশকে পাঠানো হয়েছিল বলেও তারা জানিয়েছে।
তুনিয়াজকে গ্রেপ্তারের জন্য যুক্তরাজ্যে প্রাইভেট প্রসিকিউশনের আবেদনও করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালের ফৌজদারি বিচার আইনের ১৩৪ ধারার অধীনে মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে সরাসরি অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে তারা বিষয়টি তদন্ত করে এবং যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় তুনিয়াজকে গ্রেপ্তার করে।
রোববার যুক্তরাজ্যে এসেছেন তুনিয়াজ। সেই কথা উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা এখন জরুরি ভিত্তিতে আপনাদের লিখছি, কারণ আমরা বুঝতে পেরেছি যে মূল সন্দেহভাজনদের একজন, এরকিন তুনিয়াজ এ সপ্তাহে এফসিডিও কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য একটি পরিকল্পিত সফরে রোববার যুক্তরাজ্যে এসেছেন। তুনিয়াজ জিনজিয়াংয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান (গভর্নর) এবং সিসিপি জিনজিয়াং আঞ্চলিক কমিটির স্থায়ী কমিটির সভাপতি।’
২০২০ সালের জুন মাসে একই আইনি দল ইটিজিই এবং ইটিএনএমের পক্ষে হেগে আইসিসি প্রসিকিউটরের কাছে উইঘুর এবং অন্যান্য তুর্কিদের বিরুদ্ধে চীনা রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের চলমান গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্তের জন্য নথি দাখিল করেছিল।
চিঠিতে সিসিপির সর্বোচ্চ স্তরের কর্মকর্তাদের পরিকল্পনায় এবং নিয়ন্ত্রণে পূর্ব তুর্কিস্তানের (জিনজিয়াং) বন্দিশিবির এবং কারাগারে লাখ লাখ উইঘুরকে ব্যাপকভাবে পদ্ধতিগত আটক ও নির্যাতনের কথা তুলে ধরা হয়। সূত্র : এএনআই।