Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফর্মুলা মিল্কে পুষ্টিগত দাবির পক্ষে প্রমাণ নেই : গবেষণা

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০৫ এএম

বেশিরভাগ ফর্মুলা মিল্কে পুষ্টিগত মান থাকার যেসব দাবি হয়, প্রকৃতপক্ষে সেসবে খুব কম মাত্রা কিংবা নেই বললেই চলে এমন পুষ্টিমান থাকে বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে বিশ্বব্যাপী কঠোর বিপণন ব্যবস্থা চালুর তাগিদ দিয়েছেন গবেষকরা। লাখ লাখ বাবা-মা তার শিশুর জন্য ফর্মুলা মিল্ক ব্যবহার করেন। এ খাতটি এখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক শিল্পে পরিণত হয়েছে। তবে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে (বিএমজি) প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ শিশুপণ্যে স্বাস্থ্য এবং পুষ্টিগত মানের যেসব দাবি করা হয়, তা দাবির চেয়ে একেবারেই সামান্য। বৈজ্ঞানিকভাবেও এগুলো পুরোপুরি প্রমাণিত না। গবেষণাপত্রের লেখক ডা. কা ইয়ান চেউং এবং লুকিয়া পেট্রোউ বলেন, ‘শিশুপণ্যে স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির দাবিগুলো বিস্তৃত পরিসরে প্রায়ই বৈজ্ঞানিক রেফারেন্সকে সমর্থন করে না। আর হলেও সেগুলো প্রায়শই দুর্বল এবং পক্ষপাতদুষ্ট।’ ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের চেউং এবং পেট্রোউ যোগ করে বলেন, ‘আমরা আরও দেখতে পেয়েছি যে কিছু উপাদান বিভিন্ন দাবিকে সমর্থন করে। আবার কিছু দাবি একাধিক উপাদানকে সমর্থন করে। বিপণন সরঞ্জাম হিসেবে অস্পষ্ট বা অসমর্থিত দাবিগুলো ব্যবহারের পরিবর্তে কর্তৃপক্ষের উচিত গ্রাহকদের সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহ করা।’ সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিদ্যমান বিপণন ব্যবস্থার কারণে বিতর্কিত দাবি থেকে কোম্পানিগুলো সরে আসছে না। ১৫টি বিভিন্ন দেশের ফর্মুলা পণ্য পরীক্ষা করে গবেষকরা দেখেছেন, বেশিরভাগ পণ্যে অন্তত একটি স্বাস্থ্য বা পুষ্টিমানের দাবি থাকে। কীভাবে এ দাবিগুলো বিতর্কিত এবং কিছু দেশে নিষিদ্ধ তা তুলে ধরা হয়েছে নিবন্ধে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, নাইজেরিয়া, নরওয়ে, পাকিস্তান, রাশিয়া, সউদী আরব, সাউথ আফ্রিকা, স্পেন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পণ্য কীভাবে বাজারজাত করা হয়, তা মূল্যায়ন করেন গবেষকরা। দলটি ৮১৪টি শিশু পণ্য পরীক্ষা করে; যেগুলোর প্রতিটি গড়ে দুটি দাবি বহন করে। গবেষকরা দেখেছেন, সবচেয়ে সাধারণ দাবির ধরনগুলো হলো- মস্তিষ্ক অথবা চোখ অথবা স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ ঘটায়, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উন্নত করা এবং শরীর গঠনে সাহায্য করা। যখন রেফারেন্স চাওয়া হয়, তখন ৫৬ শতাংশ পণ্য ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফল প্রকাশ করে। বাকিগুলোর রেফারেন্স ছিল পর্যালোচনায়। ১৪ শতাংশ পণ্য ক্লিনিকাল ট্রায়ালের কথা উল্লেখ করে নিবন্ধিত হয়েছে। আর নিবন্ধিত ক্লিনিকাল ট্রায়াল উদ্ধৃত করা ৯০ শতাংশ পণ্য পক্ষপাতের উচ্চ ঝুঁকি বহন করে। বিএমজি আরও বলছে, ৮৮ শতাংশ নিবন্ধিত ট্রায়ালের লেখক হয় এই খাত থেকে তহবিল পেয়েছিলেন বা সরাসরি এ খাতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গবেষকরা বলছেন, ‘একাধিক উপাদান একই স্বাস্থ্য বা পুষ্টি অর্জনের দাবি করা হয়েছিল আবার একই উপাদানের জন্য একাধিক দাবি করা হয়েছিল। বেশিরভাগ পণ্যই নিজেদের দাবিকে সমর্থন করার জন্য বৈজ্ঞানিক রেফারেন্স দিতে পারেনি। আর রেফারেন্সযুক্ত দাবিগুলো শক্তিশালী ক্লিনিকাল ট্রায়াল দ্বারা সমর্থিত ছিল না।’ দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ