Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দ্বিতীয় দিনেও ভারতে বিবিসির অফিসে চলেছে আয়কর তল্লাশি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

সেই ২০০২ সাল থেকেই ওরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পিছনে লেগে আছে। ওরা মানে বিবিসি, তথ্যচিত্র বিতর্কের জেরে মোদী সরকারের প্রধান চক্ষুশূল। মঙ্গলবার এক সংবাদসংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন স্বয়ং ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তখন সকাল ১০টা। ঠিক দেড় ঘণ্টার মধ্যে বিবিসির দরজায় কড়া নাড়ল আয়কর দপ্তর।

এরপর গতকাল বুধবারও সারাদিন সেখানে অভিযান চালায় ভারতের আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, ‘সার্ভে’ চলাকালীন বেশ কিছু ল্যাপটপ স্ক্যান করেছেন তারা। আয়কর কর কর্তৃপক্ষ বিবিসির ‘অননুমোদিত কর সুবিধা, কর ফাঁকি, বিমুখতা এবং অসহযোগিতার’ অভিযোগের তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। সূত্রের দাবি, ২০১২ সাল থেকে বিবিসির পুরো হিসেব নিকেশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই আয়কর সার্ভে চলাকালীন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তথ্য চিত্র প্রকাশ করার পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দিল্লি এবং মুম্বাইয়ে বিবিসি-র দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। অফিসে ঢুকেই বিবিসির সমস্ত সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ জমা করতে বলেন তারা। প্রাথমিক ভাবে সার্ভে নিয়ে মুখ না খুললেও পরে একটি টুইটের মাধ্যমে আয়কর দফতরকে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছিল বিবিসি। পরে গতকাল গভীর রাতে আরও একটি টুইট করে বিবৃতি জারি করে বিবিসি।

ব্রিটিশ সংস্থার তরফে বলা হয়, ‘দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসির অফিসে এখনও রয়েছেন আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। অনেক কর্মী তাদের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। অনেক কর্মচারী অফিসেই রয়েছেন আয়কর দফতরের কর্মকর্তাদের সাহায্য করার জন্য। এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের কর্মচারীদের যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছি। এদিকে আমাদের সাংবাদিকতা জারি রয়েছে। ভারতে আমাদের দর্শকদের সামনে আমরা খবর পরিবেশন জারি রাখব।’

এদিকে বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের সার্ভে নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি জারি করেছে সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া। প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার তরফেও সার্ভের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। গিল্ডের তরফে বলা হয়েছে, ‘সরকারের সমালোচনা করা সংবাদমাধ্যমগুলিকে ভয় দেখানো এবং হেনস্থা করার জন্য সরকারি সংস্থাগুলিকে ব্যবহারের এই প্রবণতায় আমরা উদ্বিগ্ন।’

প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগেই ২০০২ গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির জড়িত থাকা নিয়ে দুই ভাগে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল বিবিসি। ভারত সরকার সেই তথ্যচিত্রটিকে ইউটিউব এবং টুইটারে ব্লক করেছিল। এ আবহে বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের এই সার্ভে নিয়ে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। একদিকে যেখানে বিজেপি বিবিসির বিরুদ্ধে ‘বিষ ছড়ানোর’ অভিযোগ তুলেছে। সেখানে কংগ্রেসের অভিযোগ, দেশে ‘অলিখিত জরুরি অবস্থা’ চলছে। সূত্র : টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ