নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পরশু ঘরের মাঠে পিএসজির জার্সিতে শুরু থেকেই খেললেন লাতিন ফুটবলের দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি ও নেইমার। এমনকি চোট নিয়েই দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন ত্রয়ীর আরেক সদস্য কিলিয়ান এমবাপে। তবে প্যারিসের জায়ান্টদের কেউই পারলেন না বায়ার্ন মিউনিখের ছোবল থেকে দলকে রক্ষা করতে। গতপরশু রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর প্রথম লেগে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন। বায়ার্নের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন কিংসলে কোমান। প্যারিসেই জন্ম তার। পিএসজির যুব দল থেকেই বেড়ে উঠেছেন এবং বেশ কিছু বছর সিনিয়র দলেও খেলেছেন। তিনিই বিরতির পরে ৫৩তম বল জালে পাঠান শৈশবের ক্লাবের বিপক্ষে। এর আগে ২০২০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে যখন দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল, তখনও কোমানই গোল করেছিলেন। এবারও গোল করে জার্মান ক্লাবকে কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে এক ধাপ এগিয়ে দিলেন। আর শেষ আটের পথটা কঠিন হয়ে গেল মেসিদের জন্য। কেননা, ফিরতি লেগ যে জার্মান ক্লাবটির মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারিনায় অনুষ্ঠিত হবে।
ম্যাচ হারলেও পিএসজি প্রথমার্ধে ভালই খেলেছিল। এমনকি দ্বিতীয়ার্ধের গোলের সময়টা বাদ দিলে বাভারিয়ানদের উপর রীতিমতো ছড়ি ঘোরান এমবাপেরা। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে মাঠে নেমে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে মাত্র ১৬ মিনিট সময় নেনে এমবাপে। তবে অফসাইডের বেড়াজালে বাদ যায় সেই গোল। ৮২তম মিনিটে আবার জালে বল পাঠান বিশ্বকাপে গোল্ডেনবুট জয়ী এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। তবে আক্রমণের শুরুতে সামান্য ব্যবধানে অফসাইডে ছিলেন নুনো মেন্দেস। যোগ করা সময়ে বক্সের বাইরে মেসিকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পাভার্ড।
আগামী ৮ মার্চ মিউনিখে দ্বিতীয় পর্বের খেলা। তবে এই ম্যাচের আগে ফুটবলের পরিসংখ্যান ঘাটলে স্বস্তিতে থাকার কথা নয় পিএসজি ফুটবলার ও সমর্থকদের। পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার কোনো ধাপে ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের পর পিএসজি কখনোই পরের ধাপে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এর আগে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপে ৬ বার ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ হারের পর প্রতিবারই বিদায় নিয়েছে পিএসজি।
ঘরের মাঠে হেরেও এমবাপে মনে করেন, শেষ আটে ওঠা সম্ভব। ম্যাচের পর বলেছেন, ‘ম্যাচের শেষ দিকটা মনে করুন। পিছিয়ে থেকেও আমরা লড়াই করেছি এবং ওদের উপর চাপ দিয়েছি। আশা করি দ্বিতীয় পর্বে দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের নিংড়ে দেবে। এই ম্যাচে খেলার কথা ছিল না। কিন্তু সতীর্থদের সাহায্য করতেই মাঠে নামি। যদি আমরা আরও বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবলটা খেলতে পারি, তারা খুব একটা স্বচ্ছন্দ থাকে না। দলের প্রত্যেককে ফিট হতে হবে, ভালো ঘুমাতে হবে আর খেতে হবে।’ অন্যদিকে বায়ার্নের কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যান বলেছেন, ‘প্রথম ২৫ মিনিট আমরা ভালই খেলেছি। মাঠে সেরা দলটাই জিতেছে। গুরুত্বপূর্ণ জয়, কিন্তু দ্বিতীয় পর্ব এখনও বাকি। তবে ওরা এত নিচে নেমে ডিফেন্স করায় ও বল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা না করায় আমি কিছুটা বিস্মিত।’
একই রাতে সান সিরোতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের আরেক ম্যাচে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারের মুখোমুখি হয়েছিল এসি মিলান। শুরুতেই গোলের দেখা পেল স্বাগতিক শিবির। শেষপর্যন্ত সেটিই হয়ে থাকলো নিয়ামক। ব্রাহিম দিয়াসের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতেছে মিলান। তবে এরপর আর কোনো গোলই হলো না! তবে এর মধ্য দিয়েই একটি অপ্রাপ্তি ঘুচে গেল মিলানের। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে প্রথমবারের মতো হারাল টটেনহ্যামকে।
ঘরের মাঠে সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যায় মিলান। থিওর বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন স্পার্স গোলরক্ষক ফ্রেজার ফস্টার। ফিরতি বলে দিয়াসের শটও কোনোমতে ব্যর্থ করে দেন তিনি। কিন্তু ফিরতি বলে ডাইভিং হেডে জাল খুঁজে নেন দিয়াস। শুরুতে যেন খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না প্রিমিয়ার লিগের দলটিকে। তবে পিছিয়ে পড়ার পর ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নেয় তারা। আগামী ৮ মার্চ টটেনহ্যামের মাঠে হবে ফিরতি লেগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।