পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন আজ চ্যান্সারিতে সৈয়দ কর্নারের উদ্বোধন করেছে, যেটি স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের কর্ম ও জীবনের প্রতি সম্মান জানিয়ে উৎসর্গ করা হয়েছে । ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী এসময় বলেন, উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুসলিম সংস্কারক স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের জীবন ও কর্মকে স্মরণ ও উদযাপন করার জন্য আজকের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছে । তিনি বলেন, স্যার সৈয়দ আহমেদ খান একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন, যিনি মুসলিম সম্প্রদায়কে শিক্ষিত ও ক্ষমতায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে ফিতা কেটে কর্নারটি উন্মুক্ত করেন এবং এতে বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, প্রবাসী পাকিস্তানি এবং স্থানীয় সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন । স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এবং পরে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, লেখক এবং স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের জীবনের উপর পাকিস্তান স্টাডিজ অ্যান্ড হিস্ট্রির অধ্যাপকগণ ভিডিও বার্তা দেন, যা প্রদর্শণ করা হয়।
ইসলামাবাদে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজের পাকিস্তান স্টাডিজ অ্যান্ড হিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবিদ হুসেন আব্বাসি, লাহোরে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকিস্তান স্টাডি সেন্টারের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ আব্বাস খান মাগসি, খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকিস্তান স্টাডি সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. ফখর-উল ইসলাম, কোয়েটার আব্দুল সামাদ খান আচাকজাই শহীদ চেয়ার বেলুচিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ড. আব্দুল রউফ রফিকী এবং স্যার সৈয়দ আহমদ খানের সম্পর্কে জানেন এমন বিখ্যাত পণ্ডিতগণ তাদের নিজ নিজ ভিডিও বার্তায় দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিম নবজাগরণে স্যার সৈয়দ আহমদ খানের অবদান ও কর্ম তুলে ধরেন। বক্তারা স্যার সৈয়দ আহমদের সামাজিক, সাহিত্যিক এবং বিশেষ করে শিক্ষামূলক কার্যক্রম তুলে ধরেন, যা পরবর্তীতে তার গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে উঠে আসা নেতাদের কর্ত্ক ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করার পথ প্রশস্ত করে এবং ফলাফলসরূপ পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
সমাপনী বক্তব্যে সিদ্দিকী আরো বলেন, শিক্ষার প্রতি তার অসীম অঙ্গীকার, শান্তি ও ঐক্যের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম এবং মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় তার ত্যাগের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। কর্নারের উদ্দেশ্য তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, স্যার সৈয়দ কর্নারে স্যার সৈয়দ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের কল্যাণে তাঁর অবদানের ওপর বই, জার্নাল এব অন্যান্য উপকরণের একটি বিস্তৃত সংগ্রহ থাকবে। কর্ণারের দর্শকগণ স্যার সৈয়দের জীবন, তাঁর বার্তা এবং তাঁর ত্যাগ সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন ।
অংশগ্রহণকারীরা স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের কর্মকে স্বীকৃতি ও সম্মান করার উদ্যোগ নেওয়ায় হাইকমিশনের প্রশংসা করেন এবং নিবেদিত কর্নারের উদ্বোধনকে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের কর্তৃক এই মহান দূরদর্শী নেতার প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন বলে অভিহিত করেন। অনুষ্ঠানে আল্লামা ইকবালের বাংলায় অনুদিত কবিতার বই বিতরণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।