সঠিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে অরুণাচলের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো গেলে প্রদেশটি অভ্যন্তরীণভাবে শীতল জলের মাছ রপ্তানির উৎস্য হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও কৃষিমন্ত্রী তাগে টাকি। সোমবার প্রদেশের উত্তর-পূর্ব পার্বত্য অংশের লোয়ার সুবানসিরি জেলার ফসল কাটা ও ফসল উত্তোলন পরবর্তী প্রযুক্তি নিয়ে তিনদিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অরুণাচলের তাওয়াং, বোমডিলা, মেচুকা এবং জিরোতে শীতল জলের মাছ চাষে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের চাষিদের ট্রাউটের মতো মাছ ও দুর্লভ বিদেশি প্রজাতির শীতল জলের মাছ চাষে উৎসাহ দিতে হবে, যেগুলোর দাম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক বেশি। মাছ চাষে বিপ্লবের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও রসদ সরবরাহ করতে ইচ্ছুক মৎস্য বিভাগ।
রাজ্যের মৎস্য খাতের সমৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফিশারিজ টেকনোলজির সহায়তার প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, মৎস্যখাতে লোয়ার সুবানসিরি জেলা ব্যাপক পরিসরে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষ ধীরে ধীরে মৎস্য চাষকে ব্যবসার মডেল এবং আয়ের উত্স হিসাবে গ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত হচ্ছে,
জিরো এবং ইয়াচুলির অনেক মাছ চাষীর সাফল্যের গল্প তুলে ধরে তিনি জানান, প্রদেশের সিখে লেক থেকে সম্প্রতি সাড়ে ১১ কেজি মাঝ ওজনের মাছ ধরারও রেকর্ড রয়েছে। সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফিশারিজ টেকনোলজির প্রশিক্ষকদের কয়েক মাস পর তাদের শিখন-পঠনের কার্যকারিতা যাচাই করে দেখারও আহ্বান জানান তিনি।