ভারতের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্ম সংশ্লিষ্ট পর্যটন সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভুটান। এই ব্যাপারে মহারাষ্ট্রের গভর্নর ভগত সিং কোশিয়ারির সঙ্গে এক বৈঠকে ভুটানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার ওয়াংচুক নামগেল বলেছেন, মহারাষ্ট্রের সঙ্গে পর্যটন সম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী ভুটান। ভুটানের মতো মহারাষ্ট্রেরও বৌদ্ধধর্ম সংশ্লিষ্ট অনেক স্থান রয়েছে।
বিখ্যাত অজন্তা এবং ইলোরা গুহাগুলোর অবস্থান মহারাষ্ট্রে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি মনে করেন মহারাষ্ট্রের সঙ্গে পর্যটন সহাযোগিতা দুই অংশের মানুষকে একে অন্যের পর্যটন স্থান পরিদর্শন করতে সাহায্য করবে।
এদিকে, নিজেদের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১০৮ জন বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীকে আমন্ত্রণ জানায় ভারত। সাঙ্গওল সোসাইটির আয়োজিত এই তীর্থযাত্রাটি ১১০০ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা ভ্রমণ করবে এবং নেপালে যাওয়ার আগে ভারতের উত্তর প্রদেশ ও বিহারের বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলি পরিদর্শন করবে।
এই তীর্থযাত্রার লক্ষ্য হলো ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব অপূর্ব চন্দ্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন ছিল ভারতের বৌদ্ধ পর্যটন স্থানগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।
ভুটানে বৌদ্ধ ধর্ম কেবল ধর্ম নয়, এটি একটি জীবনধারা। পারোর রিনপুং জং, থিম্পুর ট্যাঙ্গো মঠ এবং পুনাখার পুনাতসাংচু নদী থেকে নালন্দা বৌদ্ধ ইনস্টিটিউট দেখা, সবই ভ্রমণকারীদের সামনে ভুটানের বৌদ্ধধর্মের একটি অনন্য অভিজ্ঞতা তুলে ধরে।
বৌদ্ধ ধর্ম দুই দেশের সম্পর্ককে প্রকৃতই বিশেষ ও অনন্য করে তুলেছে। ভুটানের মানুষ ভারতকে শুধু তাদের প্রতিবেশীই মনে করে না, বরং এমন এক প্রাচীন স্থান মনে করে যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে ভুটানের বন্ধন শুধু বাণিজ্যিক সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, গভীর আধ্যাত্মিকতায়ও সে বন্ধন বিরাজ করে।
সূত্র : দ্য ভুটান লাইভ ডটকম