Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব মিলেটস-এ বাজরার প্রদর্শন করবে ভারত

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০১ পিএম
আন্তর্জাতিক বাজরা বছর উপলক্ষ্যে ভারত সরকার তাদের দেশে উৎপাদিত বাজরা বা পুষ্টিকর খাদ্যশস্যের প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে। এর উদ্দেশ্য এসব পুষ্টিকর খাদ্যশস্যের বিশেষত্ব ও গুরুত্ব সম্পর্কে দেশে এবং বিদেশে প্রচার করা। 
ভারতের উদ্যোগে জাতিসংঘ এই বছরকে আন্তর্জাতিক মিলেট দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এখন ভারত শক্তিশালী জি-২০ জোটের সভাপতিত্বও করছে। খবর এএনআই।
উল্লেখ্য যে, বাজরা (জোয়ার, বাজরা, রাগি) মানবজাতির কাছে পরিচিত প্রাচীনতম খাদ্যশস্য। মোটা দানাশস্য হলো ভারতে চাষ করা প্রাচীনতম খাদ্যশস্য। এসব খাদ্যশস্য সিন্ধু সভ্যতার সময় খাওয়া হতো তার অনেক প্রমাণও পাওয়া যায়।
জনগণকে পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ এবং দেশীয় ও বৈশ্বিক চাহিদা তৈরিতে মোটা দানাশস্যের গুরুত্ব স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে ভারত সরকার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক বাজরা বছর ঘোষণায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ৭২টি দেশ ভারতের প্রস্তাবকে সমর্থন করে এবং ২০২১ সালের মার্চে জাতিসংঘ নিজেই ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক বাজরা দিবস ঘোষণা করে। 
ভারত এমন সময় এই ধারণা সামন আনে যখন বিশ্ব কোভিডের মতো মহামারির মোকাবিলা করছে। সারা বিশ্বে এটি ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। দেশটির সরকার সব সংস্থা এবং দূতাবাসের আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানে ভারতের পুষ্টিকর খাদ্যশস্য পরিবেশনের চেষ্টা করছে। এর বিশেষত্ব জনসাধারণের কাছে জানানো উচিত  এবং এই প্রক্রিয়া সারা বছর চলতে থাকবে।
ভারত যে জি-২০র সভাপতিত্ব করছে, তার সব অনুষ্ঠানে প্রাথমিকভাবে অন্তত একটি বাজরাভিত্তিক খাবার পরিবেশন করবে। প্রথম বৈঠকে অতিথিদের সামনে বাজরার অনেক ধরনের খাবার রাখা হয়েছিল।
মহামারি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আয়ে সহায়তার প্রয়োজনীয়তা সামনে এনেছে এবং তা করার জন্য বাজরা অন্যতম সেরা বিকল্প হতে পারে। বাজরা জলবায়ু-সহনশীল ফসল যা অল্প পানি, কম কার্বন নিঃসরণসহ খরা অবস্থায়ও চাষ করা যায়।
আন্তর্জাতিক বাজরা বছর খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিতে বাজরার অবদান সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াবে। পাশাপাশি বাজরা উৎপাদন ধরে রাখতে এবং উন্নত করতে অংশীদারদের উৎসাহ দেবে। একই সময়ে, এটি গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে এবং মনোযোগ আকর্ষণ করবে।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ