ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে বরাবরই অপ্রতিরোধ্য পিএসজি ।তবে সাম্প্রতিক ফর্ম কথা বলছিল জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের পক্ষে।শেষ পর্যন্ত হলোও তাই।চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষেলোর প্রথম লেগে ১-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে বায়ার্ন।ঘরের মাঠে হেরে চ্যাম্পিয়নস লীগ থেকে ছিটকে পড়ার দ্বারপ্রান্তে ক্রিস্তেফ গলতিয়ের শিষ্যরা।
আসরে একটি ম্যাচও হারেনি বায়ার্ন মিউনিখ। মঙ্গলবার রাতে ম্যাচে ফেভারিট পিএসজিকে হারিয়ে শেষ আটে এক পা এগিয়ে রাখলো জার্মানরা।
নিজেদের হারিয়ে খোঁজা পিএসজির ওপর বেশিরভাগ সময়ই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে বার্য়ান। ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনও গোল না হলেও ৫৩টি মিনিটে পিএসজির জালে বল খুঁজে পায় কোমেন।ম্যাচে আর কোন গোল না হলে সেটিই শেষে পর্যন্ত জয়সূচক গোলে পরিণত হয়।ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগও ছিল তাদের।তবে ফিনিশিং এ তালগোল পাকানোয় তা আর হয়নি।
৬২তম মিনিটে চুপো-মোটিংয়ের ওভারহেড কিক ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি দোন্নারুম্মা। পরের মিনিটে ক্যামেরুনের এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি প্রচেষ্টা ইতালিয়ান গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লেগে কর্নার হয়। সেই কর্নারে বাঁজামাঁ পাভার্দের জোরাল হেডও ঠেকান তিনি।
হার এড়াতে মরিয়া পিএসজি শেষদিকে বায়ার্নের ওপর চাপ বাড়ায়। ৭৩তম মিনিটে এমবাপে জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। চার মিনিট পর মার্কিনিয়োসের হেড ঠেকান গোলরক্ষক ইয়ান সমের।
৮২তম মিনিটে আবার জালে বল পাঠান এমবাপে, তবে আক্রমণের শুরুতে সামান্য ব্যবধানে অফসাইডে ছিলেন নুনো মেন্দেস। দুই মিনিট পর মেসির প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় ডিফেন্ডার পাভার্দের পায়ে।
যোগ করা সময়ে বক্সের বাইরে মেসিকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পাভার্দ। কোনো বিপদ যদিও হয়নি সফরকারীদের।আগামী ৮ মার্চ বায়ার্নের মাঠে হবে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।