Inqilab Logo

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বিশাল জাহাজ হাসপাতাল

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য বিশালাকায় জাহাজ হাসপাতাল বানিয়েছে দেশটির নৌ বাহিনী। তারা বিভিন্ন অঞ্চলের আহত রোগীদের এনে চিকিৎসা দিচ্ছে। রোববার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকর সাংবাদিকদের বলেন, তুর্কি নৌ বাহিনীর টিসিজি বায়রাক্তার এবং টিসিবি সানকাক্তার আহতদের নিয়ে এসে চিকিৎসা করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৪২১ জনকে হাসপাতাল জাহাজের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছি। এবং এই সেবা অব্যাহত রয়েছে।’ আকরের মতে, টিসিজি ইস্কেন্দারুন মোট ৫৪৫ জনকে সরিয়ে এনেছে, যাদের মধ্যে ৩২৮ জন ভূমিকম্পে আহত। তিনি উল্লেখ করেছেন যে ইস্কেন্দারুন উপসাগর দিয়ে (ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আদানা ও হাতাই প্রদেশের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে) মোট ২৪টি জাহাজ এবং পাঁচটি হেলিকপ্টার মানুষ এবং জিনিসপত্র সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে। এছাড়া একটা তুর্কি সশস্ত্র বাহিনী বিমান সহায়তা করিডোরও তৈরি করেছে, যাতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পরে অবিলম্বে এই অঞ্চলে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলগুলো পৌঁছে দেয়া যায়। এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রী আদিল কারাইসমাইলোগ্লু বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় আদিয়ামান প্রদেশে চার হাজার ১০৪ জন নিহত এবং প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আজ আদিয়ামানের পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো। ধ্বংসস্তূপ থেকে আমরা ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। ছয় দিন পর জীবিত উদ্ধার একটি অলৌকিক ঘটনা।’ যদিও ভূমিকম্পের পরপরই উদ্ধারকাজ শুরু করার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেছিলেন এরদোগান। তবে তিনি এর জন্য নিয়তিকেও দায়ী করেন। এরদোগান বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এটি নিয়তির পরিকল্পনারই অংশ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে অস্থিরতার কারণে কিছু জায়গায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হয়েছে। শনিবার অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেনেন্ট কর্নেল পিয়েরে কুগেলওয়েইস জানান, তুরস্কের হতাই প্রদেশে অজ্ঞাত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাত হয়েছে। ফলে অস্ট্রিয়ান দুর্যোগ ও ত্রাণ ইউনিটের কর্মীরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে বেইজ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। অস্ট্রিয়া তাদের উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তুরস্কের সেনাবাহিনী অস্ট্রিয়ান কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ায় উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করা যাবে। সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ গ্রুপ আইএসএআর এবং জার্মানির ফেডারেল এজেন্সি ফর টেকনিক্যাল রিলিফের (টিএসডব্লিউ) জার্মান শাখাও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে অভিযান স্থগিত করেছে। আইএসএআরের মুখপাত্র বলেন, দুর্যোগ কবলিত এলাকায় স্থানীয় গোষ্ঠীগুলো মধ্যে সংঘাতের খবর আসছে। গুলিও ছোড়া হয়েছে। আইএসএআরের অপারেশনস ম্যানেজার স্টিভেন বায়ার বলেন, খাবার-পানি ও মানুষকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছি। তুর্কি কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিরাপদ করে তোলার নিশ্চয়তা দিলেই জার্মান উদ্ধারকারী দলগুলো আবার কাজ শুরু করবে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান বলেন, আমরা জরুরি অবস্থা জারি করেছি। এর মানে হচ্ছে, যারা লুটপাট বা অপহরণের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আনাদোলু, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ