Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটকে হারিয়ে বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১০:০৫ পিএম

সিলেটকে উড়িয়ে দিয়ে বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। রোববার বিপিএলর প্রথম কোয়ালিফায়ারে সিলেটকে রিতিমতো বিধ্বস্ত করে ৪ উইকেটে জয় তুলে নেয় তারা। হারলেও ফাইনাল খেলার আশা শেষ হয়নি তাদের।

এক্ষেত্রে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে রংপুরকে হারাতে হবে সিলেটকে। সিলেটের দেয়া ১২৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৬.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩০ রান তোলে ভিক্টোরিয়ান্সরা।

মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পয়েণ্ট তালিকায় শীর্ষে ধাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স মুখোমুখি হয়েছিল প্রথম কোয়ারিফাইয়ারে। জিতলেই ফাইনাল নিশ্চিত। এমন ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

ব্যাটিংয়ের শুরুতেই হোঁচট খায় স্ট্রাইকার্সরা। মাত্র ১৬ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে শফিকুল্লাহ ঘাফারি (৫), তৌহিদ হৃদয় (০) ও জাকির হাসানের (২) উইকেট। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গ দিতে হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে চতুর্থ উইকেটে মাঠে নামেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।


ক্রিজে নেমেই কুমিল্লার বোলারদের ওপর চড়াও হন সিলেট অধিনায়ক। তার সঙ্গে যোগ দেন শান্তও। ৬ ওভার ব্যাট করে দুজন মিলে দলকে এনে দেন ৫৬ রান। কিন্তু ইনিংসের অষ্টম ওভারে আন্দ্রে রাসেল এসে মোর্তজাকে সাজঘরে ফেরালে ফের ছন্দপতন হয় সিলেটের।


২ চার ও ২ ছক্কায় ১৭ বলে ২৬ রান করে আউট হন মাশরাফী। পরের ওভারেই বিদায় নেন ২৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করা শান্ত। তাতে ৪১২ রান করে তিনি বনে গেছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।


এরপর ৭৮ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় তারা। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিম ছাড়া সিলেটের হয়ে কেউ হাল ধরতে পারেনি। দারুণ ব্যাট করতে থাকা মুশফিক ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে চার্লসের হাতে ধরা পড়েন। ২২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।


এরপর আর কেউ ধরতে পারেননি সিলেটের। তাতে ১৭.১ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে মাশরাফিদের ইনিংস থেমেছে মাত্র ১২৫ রানে। কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম, আন্দ্রে রাসেল ও মুস্তাফিজুর রহমান।

সহজ জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লার শুরুটাও ভালো হয়নি। সিলেটের দারুণ বোলিংয়ে ১০.১ ওভারে দলীয় ৭৩ রানে চার উইকেটে হারায় তারা। সনীল নারাইন কেউ দুই অংকে পৌছাতে পারেনি। লিটন ৭, সুনীল ৩৯, জনসন চার্লস ৪ ও ক্যাপ্টেন ইমরুল কায়েস ১৩ রানে বিদায় নেন।

এরপর মঈন আলী ২১ ও জাকিরকে শূন্য রানে বিদায় করে ম্যাচে ম্যাচ জমিয়ে তোলে সিলেটের বোলাররা। দলীয় ১০৭ রানে কুমিল্লার ৬ উইকেট তুলে নেয় তারা। তবে লক্ষ্যটা কম থাকায় জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি তাদের।
এরপর মোসাদ্দেক হোসেন সাথে জুটি গড়ে ১ রানে ক্যাচ তুলে নেন আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু উইকেট কিপার মুশফিকুর রহিমদ সহজ ক্যাচ পেলে দেন।


নতুন জীবন পেয়ে দলকে ফাইনালে তুলেই মাঠ ছাড়েন এ জুটি। মোসাদ্দেক ২৭ ও রাসেল ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৬.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩০ রান তুলে নেয় তারা। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে বড় জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে শিরোপা প্রত্যাশীরা। বল হাতে রুবেল হোসেন ৩.৪ ওভারে ৩৩ রানে তিন উইকেট নেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ