মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কেবলমাত্র নায়কের কারণেই একটি সিনেমা সফল হয় না। খলনায়কের ভূমিকা থাকে অনেক। সেকারণে পুরো সিনেমাজুড়ে খলনায়কদের রাজত্ব বেশি নজর কেড়ে নেয় দর্শকের।
হিন্দি চলচ্চিত্রে একসময় অভিনেতাদের নায়ক এবং খলনায়কের বিভাগে বিভক্ত করা থাকত। সিনেমায় অধিকাংশ নায়কদের আতঙ্কিত করত সেইসব খলনায়করা। যারা একসময় হিন্দি সিনেমার অন্যতম প্রাণভ্রমরা ছিলেন। সেই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ভিলেন ছিলেন প্রাণ। ৬০-৭০ দশকের বলিউডের আইকনিক ভিলেন ছিলেন তিনি।
প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি চলচ্চিত্রে রাজত্ব করেছেন প্রাণ। প্রত্যেকটি সিনেমায় তাকে খলনায়কের চরিত্রেই বেশি দেখা যেত। ১৯৫০ এর দশক থেকে তিনি অভিনয় শুরু করেন। কিন্তু একসময় বিখ্যাত অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছিল তাকে।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রাণ একবার তার প্রথম জীবনের দিনগুলোর কথা স্মরণ করেছিলেন। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক জীবনে মুম্বাই যাওয়ার পর তাকে খুবই কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল।
তার কথায়, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে ২০টিরও বেশি চলচ্চিত্রের পরে আমি ভেবেছিলাম হিন্দি চলচ্চিত্র আমাকে স্বাগত জানাবে কিন্তু আমি ভুল ছিলাম। কিন্তু এখানে তো খুবই অপমান সহ্য করতে হয়েছিল। খ্যাতি পাওয়ার পরেও ছয় মাসের বেশি আমার কাছে কোনো কাজ ছিল না। শেষে সংসারের খরচ, ইলেকট্রিক বিল মেটানোর জন্য আমাকে আমার স্ত্রীর কিছু গয়না বিক্রি করতে হয়েছিল।’
প্রাণ ১৯৪০ সালে লাহোরে ‘ইয়ামলা জাট’ নামে একটি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। অনেক হিট ছবিতে কাজ করার পর তিনি ১৯৪৭ সালের আগস্টে দেশভাগের সময় ইন্দোরে এবং তারপর বোম্বেতে চলে যান।
তিনি জানান, লাহোরে দাঙ্গা শুরু হলে, তার গোটা পরিবারকে ইন্দোরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। প্রাণের কথায়, ‘১৯৪৭ সালে লাহোরে যখন দাঙ্গা শুরু হয়, তখন আমি আমার স্ত্রী এবং এক বছরের শিশুকে আমার শ্যালকের সঙ্গে ইন্দোরে পাঠিয়ে দিই। সেই সময় আমার ছেলের প্রথম জন্মদিন ছিল ১১ অগাস্ট ১৯৪৭, সেদিন আমার স্ত্রী আমাকে বলেছিল যে, আমি ইন্দোরে না গেলে ছেলের জন্মদিনের উদযাপন করবেন না। এভাবেই আমি ১০ আগস্ট ইন্দোরে চলে যাই। পরদিনই, অল ইন্ডিয়া রেডিও ঘোষণা করে যে, লাহোরে আন্তঃসাম্প্রদায়িক গণহত্যা শুরু হয়েছে। তাই আমি আর লাহোরে ফিরে না গিয়ে আমরা সবাই বোম্বে চলে যাই। এরপর আমি ও আমার পরিবার স্বাধীনতার প্রাক্কালে, ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ মুম্বাই পৌঁছাই।’
মুম্বাইতে বোম্বে টকিজের চলচ্চিত্র ‘জিদ্দি’ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন চলচ্চিত্র মহলে। পরে আরও বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করেন। যেগুলো আজও বলিউড চলচ্চিত্রের সব বড় হিট হিসেবে প্রমাণিত হয়। এরপর ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করলে তার চাহিদা বাড়তে থাকে। তিনি যেমন অভিনয়ের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিলেন, তার অফ-স্ক্রিন ব্যক্তিত্বের জন্যেও সবার কাছে সমানভাবে প্রিয় ছিলেন। পেয়েছিল। সেরা পরিচালক, চলচ্চিত্র, অভিনেতা, সঙ্গীত, গীতিকার, পুরুষ প্লেব্যাক গায়ক এবং পার্শ্ব অভিনেতার মনোনয়ন। প্রাণ ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্যে সুপরিচিত ছিলেন। ২০১৩ সালে ৯৩ বছর বয়সে মারা যান প্রাণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।