Inqilab Logo

শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মেসির সেরা হওয়ার পথে বাঁধা ‘ফ্রান্স’

ফিফা দ্য বেস্ট

স্পোর্টস ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ফিফা দ্য বেস্টের জন্য মনোনীত সেরা তিন খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করেছে ফিফা। ছেলেদের পুরস্কারের জন্য মনোনীত সেরা তিনে অনুমেয় তিনটি নামই আছে। আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো লিওনেল মেসি যে এবার সব বর্ষসেরা পুরস্কারের দৌড়েই থাকবেন, সেটা সম্ভবত কারোরই অনুমান করতে কষ্ট হওয়ার কথা না। এমনকি প্রতিটি পুরস্কারে জয়ের দৌড়েই তিনি থাকবেন বহু এগিয়ে। ফিফা দ্য বেস্টে ছেলেদের ক্যাটাগরিতে মেসির পথে বাধা হয়ে হয়ে আছে তারই ক্লাব সতীর্থ ও বিশ্বকাপ ফাইনালে দারুণ হ্যাটট্রিকে ফ্রান্সকে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে রাখা কিলিয়ান এমবাপে আর রিয়াল মাদ্রিদকে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লিগ জিতিয়ে ব্যালন ডি’অর ঝুলিতে পোরা করিম বেনজেমা। ২০২১ সালে ৮ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হয়েছে সেরা তিন ফুটবলারের ছোট তালিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে।
সুদীর্ঘ ৩৬ বছর পরে কাতার বিশ্বকাপে দলকে বিশ্বসেরা করার পথে একের পর এক যে জাদুকরী পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিলেন মেসি, তাতে এই তালিকায় জায়গা পাওয়াটা তার নিশ্চিতই ছিল। জাতীয় দলে হয়ে সারা বছরই দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন সাতটি ব্যালন ডি-অর জয়ী এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। যার সেরাটা দেখা মেলে কাতারে, বিশ্ব সেরার মঞ্চে। বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর ম্যাচেই গোলের দেখা পান মেসি। পরের ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষেও দুর্দান্ত এক গোলে দলকে পথ দেখান মেসি। পুরো বিশ্বকাপে একমাত্র গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষেই জালের দেখা পাননি তিনি। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে করেন জোড়া গোল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ গোল ও সর্বোচ্চ ৩টি অ্যাসিস্ট করেন মেসি। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নেন মেসি।
মেসির ক্লাব সতীর্থ এমবাপেও কাতারের বিশ্বমঞ্চে অবিশ্বাস্য ফর্মে ছিলেন। আরেকটি বিশ্বকাপ জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিলেন তিনি ও তার দল ফ্রান্স। শেষ পর্যন্ত সেটা না হলেও, নিজেকে ঠিকই সেরার কাতারে তুলে নেন এমবাপে। ফাইনালে প্রথমার্ধেই দুই গোল খেয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ফ্রান্স। এরপর বলা যায় একক নৈপুণ্যেই দলকে পথে ফেরান তিনি, তার অসাধারণ এক হ্যাটট্রিকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খুব কাছেও পৌঁছে যায় ফরাসিরা। টাইব্রেকারের স্নায়ুচাপে ফ্রান্স শেষ পর্যন্ত হার মানলেও এমবাপে ছিলেন অনন্য। টুর্নামেন্টে আট গোল করে জিতে নেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট। এছাড়া বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৫৬ বছর পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনালে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি গড়েন তিনি। এসবের সঙ্গে গত মৌসুমে পিএসজির লিগ ওয়ান জয়ে আসরে সর্বোচ্চ ২৮ গোল করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ১৭টি অ্যাসিস্ট বড় ভূমিকাতো রেখেছিলেনই।
দলের সঙ্গে কাতারে পা রেখেও চোটের আঘাতে ছিটকে পড়েন বেনজেমা। এরপর একরোখা কোচ দিদিয়ের দেশম তাকে আর দলে টানেননি, অথচ দল নক আউটে যাওয়ার আগেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। ফ্রান্সেরো জেতা হনি বিশ্বকাপ। তবে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গত মৌসুমে তার পারফরম্যান্স এতটাই ঝলমলে ছিল যে, বিশ্বকাপে না খেলেই সেরার কাতারে জায়গা করে নিয়েছেন এই ফরাসি তারকা। ইউরোপ সেরার মঞ্চে দলকে রেকর্ড ১৪তম শিরোপা জেতাতে সর্বোচ্চ ১৫টি গোল করেন বেনজেমা। এর মধ্যে ১০টিই করেন নকআউট পর্বে। গতবার রিয়ালের লা লিগা জয়েও বড় অবদান রেখে বেনজেমা করেন আসরের সর্বোচ্চ ২৭ গোল। রিয়ালের হয়ে সকল প্রতিযোগিতায় ৪৬ ম্যাচে করেন ৪৪ গোল। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দেয়া হবে ফিফা দ্য বেস্টের পুরস্কার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ