নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিপিএলের শুরু থেকেই বিসিবির একাডেমি মাঠের বদলে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভেতরে নিজস্ব মাঠে অনুশীলন করেছে রংপুর রাইডার্স। যেটিকে তারা নাম দিয়েছে ‘হোম অব রাইডার্স’। তবে কোয়ালিফায়ার পর্ব শুরুর আগের দিন নিজেদের ঘর ছেড়ে গতকাল সেই দলটিই এলো মিরপুরে, একাডেমি মাঠে অনুশীলন করল সিলেট স্ট্রাইকার্সের সঙ্গে! তবে ফাইনালে ‘সম্ভ্যাব্য’ প্রতিপক্ষ হলেও যেখানে ছিলনা তার কোনো ঝাঁঝ। উল্টে সহজ পরিবেশে পাশাপাশি ঞাম ঝরিয়েছে দু’দল।
এই যেমন ব্যাটিং অনুশীলনের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বোলিং করতে গেলেন সিলেটের নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে লেগ স্পিন করতে দেখে এলেন রংপুরে প্রধান কোচ সোহেল ইসলাম। কাছেই বসে থাকা অভিজ্ঞ সিলেটিয়ান মুশফিকুর রহিম মজা করে বলে উঠলেন, ‘এই! এই! অন্য দলের কোচ এখানে কেন?’ হাতের ইশারায় সোহেল বুঝিয়ে দিলেন, ‘আমি স্পিন কোচ, তাই এখানে।’ তখন শান্ত বলেন, ‘তাদের (রংপুর) কীভাবে আউট করব, সেটি বলে দিচ্ছেন।’ হাসির রোল ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্রই। এমন আনন্দঘন পরিবেশেই এদিন অনুশীলন করে সিলেট ও রংপুর।
মুশফিক-শান্তরা পুরোদমে অনুশীলনে করলেও, রংপুরের চিত্র ছিল উল্টো। অনেকটা ঐচ্ছিক অনুশীলনের আমেজে ছিল তারা। দুপুর ১টার পর একাডেমিতে এসে গা গরমের ফুটবল খেলার পর রংপুরের ক্রিকেটাররা যে যার মতো ঝালিয়ে নেন ব্যাটিং-বোলিং। দলের সঙ্গে সদ্য যোগ দেওয়া মুজিব উর রহমান ও দাসুন শানাকাও ছিলেন অনুশীলনে। তবে তারাও সে অর্থে পুরোদমে অনুশীলন করেননি। অনুশীলন শেষ করে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান জানালেন, হালকা মেজাজে থাকার কারণ, ‘বসুন্ধরায় আমাদের যে সুযোগ-সুবিধা সেটা আসলে... বসুন্ধরাই (রংপুর) একটা দল যাদের ঘরের মাঠে অনুশীলনের সুবিধা আছে। আজকে (গতকাল) আসলে আমাদের অনুশীলনের চেয়ে উইকেট দেখাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ খেলেছি, তাই সেভাবে অনুশীলন করার কিছু ছিল না। ফুটবল খেলেছি এবং উইকেট দেখা (হয়েছে)। কী ধরনের উইকেট হতে পারে, তা দেখার জন্যই আসলে এখানে আসা। এর বাইরে তেমন কোনো কারণ নেই। যেহেতু টানা ম্যাচের ওপর আছি, তাই সবাই সে অর্থে অনুশীলন করেনি।’
প্রথম পর্বের ১২ ম্যাচে ৮টি জিতে তৃতীয় হয়ে শেষ চারে নাম লিখিয়েছে রংপুর। আজ এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে তারা। এই ম্যাচ জিতলে বেঁচে থাকবে শিরোপা জেতার আশা। হারলে বাজবে বিদায়ঘণ্টা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে নামার আগে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে হেরেছে সোহানের দল। তবে তার আগে তারা জিতেছিল টানা ৬টি ম্যাচ। তাই সবশেষ হার নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন রংপুর অধিনায়ক, ‘লম্বা টুর্নামেন্ট হলে একটা ম্যাচ জিতবেন, একটা হারবেন- এমন হতেই পারে। আমরা ৮টা ম্যাচ জিতে কোয়ালিফায়ারে উঠেছি। অবশ্যই আমরা সামর্থ্যবান দল। আমি আশাবাদী, আমাদের খেলোয়াড়রা যেভাবে দলের চিন্তা করে, অবশ্যই কালকে তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে। আমরা এখন যে ভারসাম্যে আছি, তাতে আমি আশাবাদী, যে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।