Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আবারও অজ্ঞাত বস্তু ধ্বংস করেছে যুক্তরাষ্ট্র

বেলুন ইস্যুতে চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার আকাশে আবারও অজ্ঞাত একটি বস্তু দেখা গেছে। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে সেটি ধ্বংস করা হয়েছে। মার্কিন আকাশে চীনা গোয়েন্দা বেলুন নিয়ে দু’দেশের উত্তেজনার মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো বস্তুটি শনাক্ত করেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে ঠিক কখন সেটি শনাক্ত করা হয় তা জানানো হয়নি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ওই বস্তুটি একটি ছোট গাড়ির মতো। সেখানে কোনো মানুষ ছিল না। সেটি বেসামরিক বিমান চলাচলে যথেষ্ট ঝুঁকি তৈরি করেছিল। বস্তুটি কী উদ্দেশ্যে এবং কোথা থেকে পাঠানো হয়েছেÑ তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানান কিরবি। তিনি বলেন, আমরা জানি না এটার মালিক কে। এটা কোনো রাষ্ট্রের, না করপোরেশনের না ব্যক্তি মালিকানাধীন। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আকাশে চীনা গোয়েন্দা বেলুনের উপস্থিতি শনাক্ত করার কথা জানিয়েছিল পেন্টাগন। পরে শনিবার এফ-২২ যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বেলুনটি ধ্বংস করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে কথা বলার সময় কিরবি জানান, বেলুনের ধ্বংসাবশেষের চেয়ে এই বস্তুর ধ্বংসাবশেষ অনেক অনেক ছোট। তিনি জানান, বস্তুটি আলাস্কার আকাশের ৪০ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ছিল। ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে আলাস্কা অতিক্রমের পর সেটি উত্তর মেরুর দিকে যাচ্ছিল। এ সময় সেটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। বস্তুটি ভূপাতিত করার সময় সাগরের উপর ছিল। এরই মধ্যে বিউফোর্ট সাগর থেকে বস্তুটির ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করতে হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান পাঠানো হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, চীনের স্পাই বেলুন ইস্যুতে দেশটির বিরুদ্ধে এবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ চীনের ছয়টি কোম্পানির বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। এসব কোম্পানি দেশটির সামরিক আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে।বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, বেইজিংয়ের সামরিক আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টাকে জোরদার করার ক্ষেত্রে- বিশেষ করে এয়ারশিপ ও বেলুনসহ মহাকাশ কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত ছয়টি চীনা কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে উত্তর আমেরিকার উপর দিয়ে উড়ে আসা সন্দেহভাজন গুপ্তচর বেলুনের বিষয়ে চীনের তীব্র নিন্দা করেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। তার আগে শনিবার মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনা বেলুনটি গুলি করে ধ্বংস করে। বেলুনটি আলাস্কা থেকে দক্ষিণ ক্যারোলিনা পর্যন্ত দিনব্যাপী উড়ার পর সেটি ধ্বংস করা হয়। এতে তীব্র আপত্তি জানায় বেইজিং। খবরে বলা হয়েছে, কালো তালিকায় যুক্ত করা চীনা কোম্পানিগুলো সরকারি অনুমোদন ছাড়া মার্কিন সরঞ্জামাদি ও প্রযুক্তিপণ্য সংগ্রহ করতে পারবে না। শুক্রবারের বিবৃতিতে মার্কিন শিল্প ও নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অ্যালান এস্তেভেজ বলেন, উঁচুতে উড়তে সক্ষম বেলুন ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে পিপলস রিপাবলিক অব চায়না। তিনি আরও বলেন, আজকের এই পদক্ষেপ স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করতে চায়- এমন কোনো সংস্থা বা কোম্পানিকে মার্কিন প্রযুক্তি প্রাপ্তি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- বেইজিং নানজিয়াং এরোস্পেস টেকনোলজি কোম্পানি, চায়না ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি গ্রুপ কর্পোরেশন, ৪৮তম গবেষণা ইনস্টিটিউট, ডংগুয়ান লিংকং রিমোট সেন্সিং টেকনোলজি কোম্পানি, ঈগলস মেন এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ কোম্পানি, গুয়াংজু তিয়ান-হাই-জিয়াং এভিয়েশন টেকনোলজি কোম্পানি, শানঝি ঈগলস মেন এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, চীনের সামরিক বাহিনী হাই অল্টিটিউড (উচ্চ-উচ্চতার) বেলুন ব্যবহার করে গোয়েন্দা তথ্য এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র নীতির স্বার্থের পরিপন্থী। তবে চীন এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জোর দিয়ে বলেছে, প্রধানত আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণার উদ্দেশ্যে বেলুন ছাড়া হয়েছে। সিএনএন, এএফপি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ